ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পরিবারের দাবি হত্যা, পুলিশ বলছে আত্মহত্যা 

সাভার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
পরিবারের দাবি হত্যা, পুলিশ বলছে আত্মহত্যা  প্রতীকী ছবি

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় আব্দুল লতিফ (৫০) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বলছে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।

তবে নিহতের পরিবারের দাবি আত্মহত্যা নয় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া এলাকায় তোতা মিয়ার বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নিহত আব্দুল লতিফ ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানার দক্ষিণ বদিনা ইসলাম পাড়া গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বেরন মোল্লা বাজার এলাকায় চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় আনোয়ারা নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল আব্দুল লতিফের। ঘটনার দিন রাতে লতিফ পালিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আনোয়ারাকে। তিনি প্রস্তাবে রাজি না হলে লতিফ পাশের ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।  

তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঘটনার দুই ঘণ্টা পর রাত ৩টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে সকালে আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির ময়নাতদন্তের কথা বলে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এরপর পরিবারের সদস্যরা হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করলে তাদের জানানো হয় এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী নুরনাহার বাংলানিউজকে বলেন, আমি অশিক্ষিত কাগজের কিছু বুঝিনা, এসআই একটা কাগজে সই নিয়েছে। পরে হত্যা মামলা করতে গিয়ে শুনি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আমাদের পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে আশুলিয়া থানার এসআই আল মামুন কবির হত্যা মামলা না নিয়ে একটি আত্মহত্যা মামলা দায়ের করেছে।  

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আশুলিয়া থানার এসআই আল মামুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।