ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিকে নাড়ি কাটতে গিয়ে একটি নবজাতকের পেটে কাঁচির আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের কাউতলী এলাকার দি আল ফালাহ মেডিক্যাল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন নবজাতকের মা ফারজানা আক্তার (২২) ও তার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম।
ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সবাই পালিয়ে গেছে। পরে মা ও নবজাতক শিশুকে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
ফারজানার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে রোববার সকালে তাকে জেলা শহরে নিয়ে আসি। এক দালালের খপ্পরে পরে দি আল ফালাহ মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাই তাকে। সেখানে আমার স্ত্রীকে সিজারিয়ান অপারেশন করতে সাড়ে ১৬ হাজার টাকার চুক্তি করা হয়। প্রথমে ১৯শ’ টাকা দিয়ে তাকে ভর্তি করি। এরপর সেখানে মারুফা রহমান নামে এক চিকিৎসক সিজারিয়ান অপারেশন করলে আমার স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু নবজাতকের পেটের একপাশে ধারালো অস্ত্রের রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা জানান, নাড়ি কাটতে গিয়ে কাঁচির আঘাত লেগেছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালটিতে যাই। হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স নেই।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, শিশুটির পেটে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে তেমন গুরুতর নয়। কিন্তু অদক্ষতার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। হাসপাতালটিতে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন করা হচ্ছে। রোববার সকালেও দু’টি সিজারিয়ান অপারেশন হয়। এছাড়া এখানে বিভিন্ন প্যাথলজি টেস্টও করা হয়। অভিযোগ পেয়ে অভিযানে গিয়ে হাসপাতালের ল্যাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। এজন্য হাসপাতালটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
এসআই