ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরে ঢাবি সাংবাদিক সমিতি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরে ঢাবি সাংবাদিক সমিতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ‘তথ্যে তারুণ্যে নিত্য সত্যে’ এ স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরে পদার্পণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।  

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সমিতির কার্যালয়ে ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

এতে অনলাইনে যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। এ সময় সমিতির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইমরান হোসাইনসহ সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অনেক সময় আমরা সমস্যায় পড়ি। কোনো কোনো শ্রদ্ধেয় সহকর্মী অভিজ্ঞতা বা তথ্যের অভাবে এমন কিছু কথা বলে ফেলে বা এমন কিছু আচরণ করে বসে, যার জন্য আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।  

সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, একজন সজ্জনের বৈশিষ্ট্য হলো, সে বিকৃত রুচির মানুষ নয়। কোথাও কোনো ব্যত্যয় ঘটলে বা ঘাটতি নজরে এলে সেটাকে কীভাবে পরিশীলিত রূপ দেওয়া যায়, সে চেষ্টা করতে হবে। তা না করে, অন্যকে অসম্মানিত করার দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে সেটা পরিহার করতে হবে। অন্যকে ঘায়েল করার জন্য নিউজ পাঠানো, কল দিয়ে নিউজ করানো ভালো মূল্যবোধের পরিচয় হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য কমিউনিটির লোকজন এটা করে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করছো। তোমাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অন্য ধরনের। কারণ, তোমরা সামগ্রিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে আমাদের সম্মান তুলে ধর।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি, আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। এজন্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে আছে, তাদের ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তেমনিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যদেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে।

তিনি বলেন, স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটেছে, এতে সাংবাদিকদের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। নানা জুলুম, হুমকি, মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে তারা তখন কাজ করেছে। জাতীয় পর্যায়ের এসব সাংবাদিকই এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখনও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সমিতির সদস্যরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কাজেই, আমরা চাইবো তারা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য তুলে ধরুক। আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি হলেও সেটা সুন্দরভাবে তারা তুলে ধরবে। রাষ্ট্রের প্রধান, সরকার প্রধান থেকে মন্ত্রী, সচিবদের বিষয় যেখানে সাংবাদিকরা তুলে ধরে, সেখানে আমাদের কোনো ভুল বা অনিয়ম থাকলে সেটাও তারা তুলে ধরবে। তাহলে সেটা থেকে আমরা সতর্ক হবো।

সভাপতির বক্তব্যে রায়হানুল ইসলাম আবির বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিতসহ সুন্দর মানবিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণের জন্য আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।