ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খিলক্ষেত থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
খিলক্ষেত থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

ঢাকা: রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকার একটি বাসা থেকে শায়লা পারভীন জুঁই (২৭) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জুঁইয়ের স্বামী তরিকুল ইসলাম জনিকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। জুঁই ফরিদপুর শহরের আলীপুরের খাঁ পাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়া খানের মেয়ে। জুঁই স্বামী তরিকুল ইসলাম জনির সঙ্গে নিকুঞ্জ দুই এর আট নম্বর রোডের ৪২ নম্বর বাসার নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন।

নিহত জুঁইয়ের মেঝ ভগ্নিপতি মো. আলমগীর হোসেন জানান, জুঁই ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেছেন। বিবিএ পড়ার সময়ে জুঁইয়ের সঙ্গে গত পাঁচ বছর আগে জনির বিয়ে হয়। তাদের তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। জনি একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন। নিকুঞ্জের ওই বাসায় তারা থাকেন। তাদের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকেন তার বড়বোন কেয়া ও কেয়ার স্বামী আলম মিয়া। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে জুঁই তার মেঝ বোনকে ফোন দিয়ে তাদের সংসারের বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। এরপর সকালে খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে ফ্লোরে জুঁইয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। মুখ উপড় হয়ে পড়ে ছিল জুঁই। তার নাক-মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর উপরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলানো ছিল। তবে জুঁইয়ের স্বামীর দাবি বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছিল। এরপর রাত ১২টার দিকে জুঁই বাসার ভেতরের একটি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সারা রাতেও আর দরজা খুলেননি। এরপর সকালে জনি তালাচাবির মিস্ত্রি ডেকে এনে দরজা খুলে ফ্লোরে জুঁইকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই তিনি পুলিশে খবর দেন।

স্বজনদের অভিযোগ, এটা নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড। তা না হলে জুঁইয়ের শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন এলো কীভাবে।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সকালে খবর পেয়ে জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বামীর মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জুঁইয়ের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ