ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেরপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
শেরপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ প্রতীকী ছবি

শেরপুর: শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে রেজিয়া বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শহরের রাজবল্লভপুর এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।  

রেজিয়া শহরের চকপাঠক এলাকার মৃত আনিস মিয়ার মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী। এ ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করলেও গৃহবধূর স্বামী শহীদসহ (৩০) শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজন পলাতক রয়েছে।  

শুক্রবার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- নিহত রেজিয়ার জা (স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী) বিথী আক্তার, চাচাতো দেবর সুজন মিয়া ও মামা শ্বশুর আব্দুল মোতালেব।

জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে শেরপুর শহরের রাজবল্লভপুর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে বাসের হেলপার শহীদের সঙ্গে বিয়ে হয় রেজিয়ার। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। পরে  আরও যৌতুকের জন্য রেজিয়ার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু রেজিয়ার বাবা না থাকায় ও ভাইয়ের দরিদ্রতার কারণে যৌতুক দিতে ব্যর্থ হয় তার পরিবার। একপর্যায়ে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে রেজিয়া বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় স্বজনদের কাছে চলে যাওয়ার পথে সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে স্বামী শহীদ। বৃহস্পতিবার রাতে শহীদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালালে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রেজিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ওই ঘটনায় নিহত রাজিয়ার ভাই আমির হামজা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বামীসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।