পঞ্চগড়: দেশের সর্ব উত্তরের হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড় সমুদ্রতল থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৫০ ফুট (৪৬ মিটার)। অতি বৃষ্টিতে বন্যা দেখা না গেলেও পাহাড়ি ঢলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ সময় মত নালা (ড্রেন) পরিষ্কার না করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যে পরিকল্পনায় নালা (ড্রেন) গুলো তৈরি করার প্রয়োজন ছিল সেভাবে করা হয়নি।
গত তিন দিন ধরে এ জেলায় টানা ভারী বর্ষণের ফরে শহরসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরাটের কারণে ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে পৌর এলাকার পাড়ায় পাড়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শহর ও পৌরবাসী।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় শহর ও পৌর এলাকা ঘুরে কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় পানি নিষ্কাশনের নালা (ড্রেন) রয়েছে। এসব নালা দিয়ে শহরের পানি করতোয়া নদীতে গিয়ে পড়ে। আগে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পানি নেমে যেত। কিন্তু বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো ময়লা-আবর্জনায় আটকে আছে। ফলে ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এতে পৌর এলাকার অধিকাংশ পাড়া-মহল্লা দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধতা থাকছে। অনেক স্থানে নালা (ড্রেন) না থাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অন্যদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মূল ফটকসহ আশপাশ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আশপাশ, পূর্ব মোলানীপাড়া, রৌশনাবাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশপাশসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা চোখে পড়েছে। এই জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করা হচ্ছে বলে পৌর কর্মকর্তারা জানালেও তেমন কোনো কাজ চোখে পড়েনি।
পঞ্চগড় পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত তিন দিনের ভারী বর্ষণে বেশ কিছু স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে একটুতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আর স্থানীয়দের ফেলা ময়লা-আবর্জনার কারণে বিভিন্ন পয়েন্টে নালা (ড্রেন) বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে বৃষ্টির পানি বের হতে পারছে না। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে নালা (ড্রেন) গুলো পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ শুরু করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
আরএ