ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

তথ্য গোপন করে পোষ্য কোটায় চাকরির অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
তথ্য গোপন করে পোষ্য কোটায় চাকরির অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আট রশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোষ্য কোটায় চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ নিয়ে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন তারই সাবেক স্বামী মো. আব্দুল খালেক।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর সাবিনা ইয়াসমিন আজমতপুর চাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্তু সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি।  

এদিকে সাবিনা ইয়াসমিনের পূর্বের বিয়ের কথা জানতে পেরে তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস সাত্তার তার পোষ্য কোটায় নিয়োগপত্রটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন।  

এ সময় সাবিনা ইয়াসমিন তার প্রথম বিয়ের কাবিননামা জালিয়াতি করে বিয়ের তারিখ দেখান ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর এবং সেই নিকাহনামা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জমা দিয়ে নিয়োগপত্র গ্রহণ করে স্কুলে যোগদান করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন সাবিনা ইয়াসমিনের সাবেক স্বামী মো. আব্দুল খালেক।  

কিন্তু প্রায় একবছরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আবারও গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে ‘ম্যানেজ’ করে আগের অভিযোগপত্রটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিয়ের কথা স্বীকার করে জানান, ২০০৬ সালে তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তার বিয়ে হয়। পরে ওই স্বামীকে তালাক দিয়ে আবারও ২০১৩ সালে একই ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি মো. আব্দুল খালেকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তাকে বিয়ে করেন।  বিয়ের প্রায় দুই মাস পর দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দেন তিনি।  

তিনি আরও জানান, আব্দুল খালেকের আগের পক্ষের স্ত্রী ও সন্তান থাকার কথা জানতে পেরেই তিনি তাকে তালাক দেন। কিন্তু আব্দুল খালেক আবার তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় এবং এতে তিনি সম্মতি না জানানোয় এ ধরনের অভিযোগ দিয়ে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, তিনি এ ধরনের একটি অভিযোগ মহা-পরিচালক বরাবর দেয়া হয়েছে বলে শুনেছেন। তবে অধিদপ্তর থেকে তাদের তদন্তের নির্দেশ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।