ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন একনেক সভার ফাইল ছবি

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মানের সাফারি পার্কের আলোকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের বিদ্যমান মাস্টার প্ল্যানের উন্নয়ন করা হবে। এ জন্য সাফারি পার্কের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটির সময় ও ব্যয় বাড়ানো হয়। এদিন মোট চারটি প্রকল্প একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়।

গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

অনুমোদন দেওয়া চার প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫৩৪ কোট ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

একনেক সভা শেষে প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রকল্পের আওতায় সাফারি পার্কের বহিস্থ ও অভ্যন্তরীণ রাস্তায় যানজট নিরসন ও যোগাযোগ সুবিধার উন্নয়ন, পার্কে বিদ্যমান বন্যপ্রাণী এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বিধান ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের সুবিধাদি উন্নয়ন করা হবে।

জানুয়ারি ২০১৭ থেকে চলমান প্রকল্পটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। চলমান প্রকল্পে আরো ৭৮ কোট ৪৩ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় বাঘের বাজার-ইন্দ্রপুর বাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ ও ৯ কিলোমিটার প্রশস্ত করা হবে। ভবানিপুর বাজার-ইন্দ্রপুর বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ, সাফারি পার্কের অভ্যন্তরীণ পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হবে। নিরাপত্তার জন্য পাকা রাস্তা নির্মাণ, সাফারি পার্কের অ্যাপ্রোচ রোডে ২টি সেতু নির্মাণ, অ্যাপ্রোচ সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ৮ দশমিক ৫২৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ৭ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।

সাফারি পার্কে পুকুর ও জলাধার খনন, ৪টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও প্রকল্পের বিদ্যমান মাস্টার প্ল্যান হালনাগাদকরণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ককে আন্তর্জাতিক মানে রূপ দিতে প্রয়োজনী সব কাজ করা হবে।

এছাড়া ২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩৯২টি দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ প্রদর্শনী করা হবে। মৎস্য সেক্টর সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার ১ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ জন সুফলভোগীর দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে।

চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মৎস্য অধিদপ্তর। এছাড়া একনেক সভায় ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘আরবান রেজিলিয়েন্স’ ও ১৪৭ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad