ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শান্তির সংস্কৃতি অনুসরণের আহ্বান

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শান্তির সংস্কৃতি অনুসরণের আহ্বান ..

ঢাকা: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের সভাপতি তিজানি মোহাম্মদ-বান্দের আহ্বানে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের ফ্লাগশিপ রেজুলেশন ‘শান্তির সংস্কৃতি’র ওপর সাধারণ পরিষদের বার্ষিক উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম।

কোভিড-১৯ জনিত কারণে ভার্চ্যুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত এ ফোরামে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, সদস্য দেশসমূহের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

ইভেন্টটির এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শান্তির সংস্কৃতি: কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে নতুন বিশ্ব বিনির্মাণ’।  

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি উপস্থাপন ও সর্বসম্মতিক্রমে তা রেজুলেশন হিসেবে গৃহীত হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা প্রদত্ত বক্তব্যে তুলে ধরেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের অংশ বিশেষ ‘মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি একান্ত দরকার। এ শান্তির মধ্যে সারা বিশ্বের সব নর-নারীর গভীর আশা-আকাঙ্ক্ষা মূর্ত হয়ে রয়েছে’ অংশটি উদ্ধৃত করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, জাতির পিতার এ কালজয়ী বক্তব্য ও আদর্শ থেকেই উদ্ভূত হয়েছে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্রুতি যা আমাদের শান্তির সংস্কৃতির প্রসারে অনুপ্রাণিত করছে।

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মহামারিকালে শান্তির সংস্কৃতির প্রাসঙ্গিকতার কথাও তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।  

তিনি বলেন, এ মহামারির সময়েও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অনেক উদ্যোগে ছিল শান্তির সংস্কৃতি অনুসরণ। এ মহামারি কাটিয়ে তুলতে বৈশ্বিক একাত্মতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টায় পরিপূরক হিসেবে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটিকে সন্নিবেশন করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা থিংক ট্যাঙ্ক ইন্টারন্যাশনাল পিস ইনস্টিটিউট (আইপিআই) আয়োজিত ‘শিক্ষা, কোভিড-১৯ ও শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক একটি সাইড ইভেন্টে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন তিনি। এ ইভেন্টটিতেও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি তিজানি মোহাম্মদ-বান্দে।  

সাইড ইভেন্টেটিতে বক্তব্যে শিশুদের ওপর বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোভিড-১৯ এর মারাত্মক প্রভাব সম্বন্ধে আলোচনা করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। মহামারিটি যাতে প্রজন্মের সঙ্কটে পরিণত না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা উল্লেখ করেন তিনি।  

করোনা মহামরিতে শিক্ষাখাতে সৃষ্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় মোকাবিলায় শান্তির সংস্কৃতি অনুসরণের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। মহামারি চলাকালীন শিক্ষা ও বিদ্যার্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে অন্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন ইউনিসেফ ও ইউনেস্কোর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাষ্ট্রদূত, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ইভেন্টটিতে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
টিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।