ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তন: ক্ষতিপূরণ আদায়ে তৎপরতা বাড়ানোর দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২০
জলবায়ু পরিবর্তন: ক্ষতিপূরণ আদায়ে তৎপরতা বাড়ানোর দাবি আম্পান পরবর্তী সময়ে কেমন আছে উপকূলবাসী শীর্ষক অনলাইন সংলাপ

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে।

পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ে তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংলাপের বক্তারা।

‘আম্পান পরবর্তী সময়ে কেমন আছে উপকূলবাসী?’ শীর্ষক অনলাইন সংলাপে এ আহ্বান জানান সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বেসরকারি সংস্থা লিডার্স আয়োজিত ওই সংলাপে সূচনা বক্তব্য উত্থাপন করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

প্রবাস দর্পণ-এর সম্পাদক রূপচাঁদ দাশ রুপকের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, মংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক মো. নূর আলম, সাতক্ষীরার সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন প্রমুখ।

সংলাপে উপকূলে বেড়িবাঁধ নির্মাণে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে। এতে উপকূলের জনগণের ঝুঁকিও বেড়েছে। সরকার এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আপ্রাণ চেষ্টা করছে। বাজেটের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইতোমধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশকিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদী আরো কিছু প্রকল্প নেওয়া হবে।

সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, আম্পান পরবর্তী সময়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করেছি। তারপরও উপকূলের মানুষের নানান ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বক্তারা আরো বলেন, অতীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অনিয়মের কারণে প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার পর হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প খুব বেশি কাজে আসেনি। তাই সঠিক গবেষণার মাধ্যমে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া উপকূলের উন্নয়নে পৃথক বোর্ড গঠনের দাবি জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।