ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভোলায় দুর্ভোগ কমেনি বন্যা দুর্গতদের, চলছে বাঁধ নির্মাণ 

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
ভোলায় দুর্ভোগ কমেনি বন্যা দুর্গতদের, চলছে বাঁধ নির্মাণ  বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: ভোলায় ভেঙে যাওয়া বাঁধের নির্মাণকাজ চলছে পাঁচ দিন ধরে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পুরোপুরি কাজ শেষ হতে আরো দুই দিন লাগবে।

 

এদিকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে ৫ম দিনের মত পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বানভাসি মানুষ। দুর্গত এলাকার বেশিরভাগ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। অসহায় হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা। মানুষের দুর্ভোগ আর ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

সরেজমিন দেখা গেছে, একদিকে চলছে বাঁধ মেরামতের কাজ আর অন্যদিকে পানিতে তলিয়ে আছে ভোলা সদরের সাজিকান্দি, রামদাসপুরকান্দি, সোনাডগী, পূর্বচর ইলিশা ও মুরাদসফিল্লা গ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ। জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।  

টানা পাঁচ দিন ভিটেবাড়ি তলিয়ে থাকায় ঠিকমত রান্না খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের। ভিটের মাটি সরে যাওয়ায় হেলে পড়ছে বসতঘর। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেখা দিয়েছে যাতায়াত সমস্যাও। বেড়েই চলছে বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ, অন্যদিকে ফসল ও মাছ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।

...বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোয়ারের পানিতে অনেকের পুকুর ও মাছের ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। আমন ধান ও সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরের আসবাপপত্র ভেসে গেছে জোয়ারের পানিতে। ভাঙা বাঁধ মেরামত কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিনই পানিতে ভাসছে তাদের ঘরবাড়ি। অনেকে ঘরভিটা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে। বেশিরভাগ মানুষের ঘরে চুলো জ্বলছে না। কিছুতেই যেন সংকট কাটছে না তাদের। এদিকে বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বন্যা দুর্গত এলাকার তাসনুর, মনোয়ারা ও রোকেয়া বেগমের মত অনেকের দাবি টেকসই বাঁধ নির্মাণের। তারা বলেন, খুব দ্রুত বাঁধ মেরামত না হলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, বল্লা পাইলিং, জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে আগামী দুই দিনের মধ্যে বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হবে, তখন আর মানুষের ভোগান্তি থাকবে না।

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।  

তিনি বলেন, যাদের ঘর নষ্ট হয়েছে তাদের ঘর দেওয়া হবে, এছাড়াও যাদের ফসল ও মাছ নষ্ট হয়েছে তাদেরও সহযোগিতা করা হবে।  
এদিকে দ্রুত বাঁধ সংস্কার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।