ঢাকা: ‘শেখ মুজিব কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা, দার্শনিক বা একজন সমাজ সংস্কারকই ছিলেন না; সঙ্গীতের প্রতি তার যে আগ্রহ, তার যে ভালোবাসা এবং পৃষ্ঠপোষকতা, সেগুলো অনেকটাই লুকায়িত ছিল। আমাদের মনে আছে তিনি গুনগুন করে গান গাইতেন- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।
শনিবার (১৫ আগস্ট) প্রকাশিত মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিবেদন ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনে সুর ও ছন্দের ঝংকার’ শীর্ষক অনলাইন প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সাংবাদিকরা এলেন। তারা তাকে প্রশ্ন করলেন- চারিদিকে যুদ্ধের টালবাহানা, এমন সময় আপনার জন্মদিন; আপনার অনুভূতি বলুন। বঙ্গবন্ধু তখন নজরুলের কবিতার ছন্দে বলেছিলেন- ‘জাহান্নামের মুখে বসি আমি হাসি পুষ্পের হাসি’।
মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১০ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান কবিগুরুকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘কবিগুরু তোমার কবিতা আজ মিথ্যা হয়েছে। সাত কোটি সন্তানের, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি আজ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ’ বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে, বাঙালি আজ স্বাধীন হয়েছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, এর থেকেই বোঝা যায় তিনি কতটা কাব্যচর্চা করতেন, শিল্পে তার ধ্যান-ধারণা কতটা ছিল। তিনি প্রায়ই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের ডেকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গান শুনতেন, উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা দিতেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নানামুখী আয়োজনে শিল্পীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সর্ম্পক তুলে ধরে করা হয়েছে অনলাইন এই প্রদর্শনীতে।
‘বঙ্গবন্ধুর জীবনে সুর ও ছন্দের ঝংকার’ শীর্ষক প্রদর্শনী:
কিশোর বয়সেই কবিতা ও গানের সঙ্গে পরিচয় ঘটে শেখ মুজিবের। তার রাজনৈতিক জীবন পরিক্রমায় নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে বাংলার শিল্পীদের সঙ্গে। তাদের অনেকের গান বঙ্গবন্ধুর জীবনকে যেমন পূর্ণ করেছে তেমনি তিনি অনেকের গানের অনুপ্রেরণা হয়েছেন। শিল্পমনা এবং ঐতিহ্যপ্রেমী বঙ্গবন্ধু অনেকটাই লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে গেছে। শিল্পীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সর্ম্পক তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন করেছে এই ভিন্ন ধারার উপস্থাপনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২০
এইচএমএস/এনটি