ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নানা অজুহাতে মাস্ক ছাড়াই ঘুরছেন মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
নানা অজুহাতে মাস্ক ছাড়াই ঘুরছেন মানুষ মাস্ক ছাড়াই ঘুরছেন মানুষ, ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা মহামারি অনেকটাই সামলে নিলেও যেসব দেশে বেশি সময় ধরে ধুঁকছে তার একটি বাংলাদেশ। সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেই বাংলাদেশে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন।

স্বাভাবিক জীবনে ফেরা বাংলার মানুষের একটি বড় অংশই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়াই বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও অনেকেই নানা অজুহাতে পরছেন না।

মাস্ক না পরার পেছনে নানা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন তারা, আবার না পরার কারণ জিজ্ঞেস করলে ক্ষেপে উঠছেন কেউ কেউ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বর্তমান পেক্ষাপটে মাস্ক পড়া খুবই জরুরি। এ পরিস্থিতিতে মাস্ক পরার গুরুত্ব তুলে ধরে তারা জনসচেতনতা তৈরিতে জোরাল পদক্ষেপ নিতে বলছেন।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সরেজমিনে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, বিশ্বরোড মোড়, ইসিবি চত্বর, কালশী মোড়, মাটিকাটা, মিরপুর-১২, ১১, ১০, ৭, ৬, ২ ও ১ নম্বর এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক ছাড়াই চলতে দেখা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের। এছাড়া বাস ড্রাইভার ও হেলপারদের অধিকাংশই মাস্ক ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছেন। মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বর এবং কালশী এলাকা ঘুরে অধিকাংশের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হলেও বেশিভাগ মানুষই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

মিরপুর কাজীপাড়া মাইকয়ালা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা মাহবুব হোসেন বলেন, এখন আর আমার মাস্ক পরতে ভালো লাগে না। এখন আর করোনার প্রভাব তেমন নেই। করোনা সাইকোলজিক্যাল বিষয়।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে এখন আর ভয় করি না। করোনার জন্য তো আর আমার কাজ থেমে থাকতে পারে না। কাজও করতে হবে, বেঁচেও থাকতে হবে। যতোটুকু সাবধান থেকে চলে যায়, ততটুকু সাবধান থাকার চেষ্টা করছি।

ফার্মগেট মনিপুরিপাড়া এলাকায় একটি চা দোকানে মাস্ক ছাড়াই তরুণদের আড্ডা দিতে দেখা যায়। মাস্ক না পরার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বলেন, এ গরমের মধ্যে আর কতক্ষণ মাস্ক পরে থাকা যায়। আড্ডা শেষ হলে মাস্ক পড়ে বাসায় যাবো।

মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পথচারী রায়হান মাস্ক না পরেই চলাফেরা করছিলেন। তিনি বলেন, দেখছেন তো বড় একটি ব্যাগ নিয়ে হাঁটছি। অনেক গরম লাগছে। বারবার ঘেমে যাচ্ছি। তাই মাস্ক পরিনি।

গত মার্চে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর টানা দুই মাস সরকারি ছুটি ঘোষণার সঙ্গে বাইরের সবধরনের কাজকর্ম ও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর বিধি-নিষেধ শিথিল করার ধারাবাহিকতায় এখন অনেকটা আগের মতোই চলছে সবকিছু। তবে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাসহ স্বাস্থ্যবিধি যথযাথভাবে মেনে চলতে সরকারের পক্ষ থেকে বার বার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

দুই মাস আগে ঈদুল ফিতর সামনে রেখে দোকানপাট খুলে দেওয়ার পর গণপরিবহনসহ একে একে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়। তখন বাংলাদেশে প্রতিদিন শনাক্ত সংখ্যা বাড়তে থাকে, এখনও প্রতিদিন দুই/তিন হাজারের কমবেশি হচ্ছে এ সংখ্যা। এরইমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পৌনে তিন লাখের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
এমএমআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।