ঢাকা: একাত্তরের গণহত্যার বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধু যখন এগিয়েছেন, তখন কেউই তার পাশে দাঁড়ায়নি। তবুও তিনি একা লড়ে গেছেন।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘গণহত্যার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বঙ্গবন্ধু ও তার সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন কথা বলেন জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. মফিদুল হক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সমব্যথী ছিলেন সেই সমস্ত পরিবারের প্রতি যারা গণহত্যায় নিজের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছিলেন। তিনি সেইসব পরিবারকে নিয়েই এগিয়ে গেছেন এবং সফল হয়েছেন।
ডা. মফিদুল হক বলেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে। এরপরেও বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। সেই জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধু এদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করেছেন। বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার জন্য কাজ করে গেছেন এদেশের তরুণদের সঙ্গে নিয়ে।
মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকা এবং নিজের অধিকার আদায় করার জন্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু সেই সময় তাই করেছেন। সমাজকে সুসংহত করা, সুন্দর করে গড়ে তোলা এবং মানুষের শান্তিতে বসবাস করার মতো সমাজ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি সর্বদা কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেন ডা. মফিদুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
এইচএমএস/এনটি