ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘দেশভাগের আগেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন’ 

none | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
‘দেশভাগের আগেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন’  প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সহায়তা চেক প্রদান অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

ঢাকা: ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দুটি অবৈজ্ঞানিক রাষ্ট্র তৈরি হয়। তার আগেই বঙ্গবন্ধু পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা পাড়ের অঞ্চল নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা পাড়ের এই অঞ্চলটি সত্যিকার অর্থেই কোনদিন স্বাধীন ছিল না। বঙ্গবন্ধুই এই দেশটিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেন। সেই জাতির প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এটি আমাদের জন্য চরম কষ্টের দুখের।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী এবং করোনাকালে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সহায়তা চেক প্রদান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

এ সময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের জাফর ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালের আগে থেকেই শুরু করেছিলেন স্বাধীনতার আন্দোলন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন শুধু ধর্ম দিয়ে অবৈজ্ঞানিকভাবে দুটি দেশকে ভাগ করা হয়েছিল। তারা আমাদের শাসন, শোষণ ও লুণ্ঠনের জন্য ভাগ করেছিল। পাকিস্তান শুধু পূর্ব বাংলাকে শোষণ করেছে। পূর্ববঙ্গের কুটির শিল্প, মসলিন, জামদানি, পাট সব মিলিয়ে তারা আমাদের ২৩ বছর শাসন ও লুণ্ঠন করেছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের অর্থ দিয়ে।

তিনি বলেন, আমরা আজকে বলি—মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দর্শন, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক, ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থা; দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধু এই আদর্শের জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করেছেন। এই বাংলার মানুষকে তিনি জাগ্রত করেছেন। বঙ্গবন্ধু ৫০ দশকের শুরু থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাঙালি জাতির শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্য। এজন্য তিনি বার বার পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে সুভাষ বসু ছিলেন অভিযাত্রিকের প্রতিনিধি আর শেখ মুজিব ছিলেন তৃণমূল, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি। তাদের আত্মার আত্মীয় ছিলেন শেখ মুজিব। এজন্যই তিনি সফল হয়েছিলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামে ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছে সাংবাদিক সমাজ। দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজকে সহযোগিতা দিয়েছেন। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিক সমাজ। অনেক বুদ্ধিজীবীরা বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর টিকে থাকবে না। যদি টিকে থাকে তা বিদেশি সাহায্যের ওপরে থাকবে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের বাজেটে বিদেশি সাহায্য মাত্র ২ ভাগ। ১০ বছর আগে ছিল ১৫/২০ ভাগ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বংয়সম্পূর্ণ। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘণবসতি পূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশে আজ কেউ না খেয়ে থাকে না। মাথাপিছু জমি ছিল ২৮ শতাংশ, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে। তারপরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা ও বন্যার মতো দুর্যোগ আমরা মোকাবিলা করছি। মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না। তারা বলে এখন আর রিলিফের প্রয়োজন নেই। রিলিফ নিয়ে মুরগিকে খাওয়ায়। আমাদের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেও আমাদের কোন খাদ্যের সমস্যা হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad