ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৪ পুলিশ-৩ সাক্ষী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
৪ পুলিশ-৩ সাক্ষী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ, ফাইল ফটো

কক্সবাজার: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে গত বুধবার (১২ আগস্ট) আরও সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল চার পুলিশ সদস্যের। একইসঙ্গে গ্রেফতার তিন সাক্ষীরও রিমান্ড হয়েছিল সেদিন।

অবশেষে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের র‌্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এখনও অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়ার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, প্রধান আসামি প্রত্যাহার হওয়া ফাঁড়ি পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও নন্দ দুলাল রক্ষিত কক্সবাজার জেলা কারাগারেই রয়েছেন। আত্মসমর্পণের পর তাদেরও রিমান্ড দিয়েছিলেন আদালত।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন এবং পুলিশের করা মমালার তিন সাক্ষী নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিয়ে যাওয়ার জন্য র‌্যাবের একটি দল সকাল সোয়া ১০টার দিকে কারাগার থেকে রওনা দেয়।

তিনি বলেন, তবে এখনও পর্যন্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিত কক্সবাজার জেলা কারাগারেই রয়েছেন। র‌্যাব জানিয়েছে তাদেরও সুবিধাজনক সময়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, রিমান্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যেকোনো সময় নিয়ে যাওয়া হবে।

এর আগে বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ চার আসামি ও তিন সাক্ষী মোট সাতজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরও আগে এই চার আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে র‌্যাব। তবে একই দিন টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাতদিনের রিমান্ড দেওয়া হলেও তাদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি সংস্থাটি।

গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ এনে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের নয় সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এরপর আদালতে গত ৬ আগস্ট নয় আসামির মধ্যে পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ সাতজন আত্মসমর্পণ করেন। দুজন করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
এসবি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।