চাঁদপুর: চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় আবারও মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১২ আগস্ট) রাত ১০টায় ওই এলাকার বাঁধসহ সড়কের প্রায় ২৫ মিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ২৫ মিটারের সঙ্গে বাঁধের আরও ৬০-৭০ মিটার ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দার খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
ভাঙনের খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষণিক বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছেন। নতুন করে আরও ব্যাগ বালুভর্তি করা হচ্ছে। স্থায়ী ও শক্তিশালী বাঁধ না হলে বাণিজ্যিক এলাকা পুরান বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি মেঘনায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসন্দিারা।
স্থানীয় বাসিন্দা বিমল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর থেকে ভাঙন এলাকাটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ওই সময় মন্ত্রীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন। ১১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে স্থায়ী বাঁধ হবে বলে আশ্বাস দিলেও এখনও তা করা হচ্ছে না। যখন ভাঙন দেখা দেয় তখন কিছু বালুভর্তি ব্যাগ ফেলানো হয়, ভাঙন কমলে আর কোনো কাজ হয় না। গত ২০ দিন আগেও একবার ভাঙন দেখা দিয়েছিল। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড যে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ নির্ধারণ করে সেখানেই এখন ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাত থেকেই শ্রমিক কাজ করতে শুরু করেছেন। তবে এখানে পানির গভীরতা প্রায় ৪৫ ফুট। তারপরেও কাজ বন্ধ নেই।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার রাত ১০টায় পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ফাটল দেখা যায়। এ সময় শহর রক্ষা বাঁধের বেশকিছু ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ২৫ মিটার এলাকাজুড়ে ফাটল দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে বালিভর্তি বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। মেঘনা নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার পাশাপাশি সৃষ্ট ঘূর্ণিপাকে হরিসভাসহ পুরানবাজার ব্যবসায়িক এলাকাটি ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
এনটি