ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৩৩ জেলায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত ৪০৭১০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
৩৩ জেলায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত ৪০৭১০

ঢাকা: দেশের ৩৩ জেলার ২৬৯ উপজেলার মধ্যে দুর্গত ১৬৩টি উপজেলার এক হাজার ৭৮টি ইউনিয়নের ৫৫ লাখ মানুষ বন্যাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চলতি মৌসুমে দুই দফা বন্যায় দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

প্রকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পানি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, আরটিআই, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, সাপে কাটা, বন্যাজনিত কারণে আঘাতপ্রাপ্ত ও শ্বাসনালির প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৭১০ জন। এছাড়া পানিতে ডুবে, ডায়রিয়া, সাপের কামড় ও বজ্রপাতে ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর মুখপাত্র ডা. আয়শা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের ৩৩ জেলার নিম্নাঞ্চলে প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি। বন্যাকবলিত জেলাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মাদারীপুরে সবচেয়ে বেশি ১৬ হাজার ৬২৯ জন। এছাড়া টাঙ্গাইলে পাঁচ হাজার ২১২ জন, নেত্রকোনার এক হাজার ৮৬২ জন, সিরাজগঞ্জের এক হাজার ৭৯৬ জন, ঢাকায় এক হাজার ৭৫২ জন, ফরিদপুরে এক হাজার ৪৯৬ জন, কুড়িগ্রামে এক হাজার ২৩৪ জন, মানিকগঞ্জে এক হাজার ২৫৪ জন বগুড়ায় এক হাজার ১১৭ জন ও রাজবাড়ীতে এক হাজার দুই রয়েছেন।  

বন্যাকবলিত ৩৩ জেলার মধ্যে জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় সবচেয়ে বেশি ৩১ জন করে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরে কুড়িগ্রামে ২৩ জন, মানিকগঞ্জে ১৯ জন, লালমনিরহাটে ১৭ জন। সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধায় ১৫ জন করে ৩০ জন রয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জে আট জন করে ১৬ জন। ঢাকা জেলায় সাত জন, নেত্রকোনায় ছয় জন, মুন্সীগঞ্জে চারজন, মৌলভীবাজার, রংপুর ও শরীয়তপুরে তিন জন করে নয় জন। নীলফামারী, রাজবাড়ী, নওগাঁ ও গাজীপুর জেলায় দু’জন করে আট জন, ফরিদপুর জেলায় একজন রয়েছেন।

অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বন্যাদুর্গত এলাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ হাজার ২১১ জন ডায়রিয়া রোগী। এছাড়া আরটিআইএ চার হাজার ৪৪৯ জন, চর্মরোগে আট হাজার ৭২২ জন, বাকিরা অন্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩৩ জেলার বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষদের আশ্রয়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ৫৬৭টি। এসব এলাকায় দুর্গত মানুষের চিকিৎসার জন্য দুই হাজার ৭৮৫টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। এছাড়া সিভিল সার্জন, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সব সময় তদারকি করছেন‌। সরকারের সব মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে বন্যা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও অন্যান্য ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। তাছাড়া আক্রান্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad