রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সোমা খাতুন (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রী এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। তার মুখে এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করেছে বখেটেরা।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের বড় বাউটিয়া নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সোমা ওই ইউনিয়নের বাউটিয়া নারায়ণপুর গ্রামের সেলিম রেজার মেয়ে। সে বাউটিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার আলিম শ্রেণির প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী।
পরিবারের বরাত দিয়ে বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে চাচির সঙ্গে টেলিভিশন দেখছিলেন সোমা খাতুন।
ওই সময় বাড়ির পাস দিয়ে যাওয়া বখেটেরা জানালা দিয়ে এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে তার মুখ ও হাত ঝলসে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। গত কয়েকদিন থেকে একটি অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে তাকে বিরক্ত করা হচ্ছিল। ওই ঘটনার সূত্র ধরেই বখেটেরা তার মুখে এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির চোখের নিচ থেকে মুখের অংশ ঝলসে গেছে। এছাড়া তার বাঁ হাতটিও পুড়ে গেছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম আরও বলেন, বুধবার সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হলে দোষীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২০
এসএস/ওএইচ/