ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আমি সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি: স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
আমি সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি: স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি ছবি: শাকিল

ঢাকা: করোনা সংক্রমণের শুরুতে মাস্ক, পিপিইসহ অন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় দুর্নীতি অনুসন্ধানে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

বুধবার (১২ আগস্ট) তলবি নোটিশের ‘জবাব’ দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

পাঁচঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন৷

দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দলের অন্য সদস্যরা হলেন দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনাকালীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসামগ্রী কেনার বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে আমি কী জানি তার জন্য দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা আজ আমাকে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি তা তাদের বিস্তারিত বলেছি। তদন্তাধীন বিষয় সম্পর্কে এই মুহূর্তে আমার পক্ষে এর বেশি কিছু আপনাদের বলা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে আমি ২০১৬ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। আমি লক্ষ্য করছিলাম যে, আমাকে নিয়ে অপপ্রচারের অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। পদ আঁকড়ে রাখা আমার কাছে সম্মানের বিষয় নয়। তাই বিবেক তাড়িত হয়ে গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।

নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি একজন কঠোর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান, সৎ, সজ্জন ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে সারাজীবন কাজ করেছি। আমি একজন অহংকারমুক্ত ও সরল এবং সজ্জন ব্যক্তি। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমার পর্যাপ্ত জ্ঞান অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা আছে। করোনার মতো মহাদুর্যোগে যাতে লাখ লাখ মানুষের জীবনহানি না ঘটে সেজন্য আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বিবেকবোধ ও সদিচ্ছা থেকে নিজের জীবনকে তুচ্ছ বলে মনে করে কাজ করেছি।

‘করোনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারিনি। ২০ দিন ধরে ভুগে মৃত্যুর দুয়ার থেকে পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে এবং চিকিৎসকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুস্থ হয়েছি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দিনই কাজে যোগ দিয়েছি। কারণ এমন একটি দুর্যোগ যে বিশ্রামের কথা ভাবতে পারিনি। ’

তিনি আরো বলেন, সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে কেউ অপরাধ করলে তার কঠোর শাস্তি হোক এটা আমি চাই। এ বিষয়ে তদন্তে আমি প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
ডিএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad