পিরোজপুর: পিরোজপুরের কাউখালীতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে এক গৃহবধূকে (২০) ধর্ষণ করা হয়েছে। নির্যাতিতা গৃহবধূকে ওই রাতে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাশুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জেলার নেছারাবাদ উপজেলার গোনম্যান গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে এক বছর আগে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার এক যুবকের (৩০) প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ে হয়। ওই যুবক ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা জানতে পেরে তরুণীর পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি।
২২ দিন আগে ওই যুবক তার স্ত্রীসহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাশুরী গ্রামের নাছির মাস্টার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। নাছির মাস্টার উপজেলা সদরে অন্য একটি বাড়িতে থাকেন। নেহারু বেগম নামে একজন এই বাড়িটির তত্ত্বাবধায়ক। এরই মধ্যে ওই দম্পতির মনোমালিন্য হয়। এর জেরে রাগ করে ওই যুবক তার স্ত্রীকে ফেলে কয়েকদিন গা ঢাকা দেন। এ সুযোগে স্থানীয় নবীর উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জালাল হোসেন হাওলাদার (৪৫) স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত সোমবার (১০ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ওই গৃহবধূকে পাশের বাড়ির কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূকে নাছির মাস্টারের নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ধর্ষক জালাল হোসেন পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, তার স্বামী ওই বাড়িতে আছেন এমন কথা বিশ্বাস করে তিনি ওই জালালের সঙ্গে গিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
আরএ
