ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলে কমছে বন্যার পানি, ভাঙছে নদী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলে কমছে বন্যার পানি, ভাঙছে নদী ভাঙছে নদী, বাড়ছে দুর্ভোগ / ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: পদ্মা-যমুনাসহ জেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত আঞ্চলিক নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উন্নতি হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির।

তবে এমন সময় আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে নদী ভাঙন। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙছে নদী। নদী ভাঙনের কারণে অনেকেই হারাতে বসেছেন শেষ স্বম্বলটুকুও।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার ৬টি উপজেলায় বন্যার পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করে। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও নদী ভাঙনের কারণে বেড়ে গেছে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে বসতবাড়ি হারিয়েছে শতাধিক পরিবার।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনার পানি কমতে শুরু করায় ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে দেখা দিচ্ছে নদী ভাঙন। ভাঙনের ভয়ে অনেকেই ঘরের বেড়া খুলে অন্যত্র তুলছেন। আবার অনেকে বাড়ি ফেলে আশ্রয় নিচ্ছেন দূরে বাস করা কোনো আত্মীয়ের কাছে। অনেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন কীভাবে তাদের বাড়িঘর নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে সে দৃশ্য।

জিয়নপুর ইউনিয়নের লাউতা এলাকার বাসিন্দা লুৎফা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যেক বছর আমাগো এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। কয় বস্তা বালি ফেলে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। আমার দুইটা ঘর নদীতে ভাইঙ্গা গেছে। আরও একটা যে কোনো সময় যাইবো।

একই এলাকার সাত্তার নামের একজন বলেন, নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বড় হয়েছি, এখন আর ভয় পাইনা। বন্যার পানি বাড়িতে চলে আসার কারণে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। পানি নামছে ঠিকই কিন্তু এমন সময় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। তাই ঘরের বেড়া অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছি।

দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার ইউনিয়নের কিছু কিছু স্থানে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন এলাকা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে দ্রুত সময়ের ভেতর ভাঙন প্রতিরোধের জন্য জিও ব্যাগ ফেলবেন।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নদীতে মাত্র পানি কমতে শুরু করেছে, এখনো নদীর পাড় জাগেনি। জেলার চরাঞ্চলের বাজার, হাট, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের জন্য জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া নদীর ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুম শেষে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করানো হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।