বেনাপোল (যশোর): প্রায় ৫ মাস কারাভোগের পর দ্বিতীয় দফায় ভারতে আটকা পড়া তাবলীগ জামাতের ১৭ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এদের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও আটজন নারী রয়েছেন।
রোববার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। ভারত থেকে ফেরত আসা এসব তাবলীগ জামাতের সদস্যদের বাড়ি বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬৫ জন তাবলীগ জামায়াতের কর্মীরা পাসপোর্ট যোগে ভারতে যায়। এ সময় ভারতে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ এনে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। এরমধ্যে থেকে প্রথম দফায় শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে সড়ক পথে ১৪ জন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে পৌঁছান। দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের ১৭ সদস্য দিল্লি থেকে ট্রেনে যাত্রা করে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে পৌঁছান।
ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান বাংলানিউজকে জানান, দ্বিতীয় দফায় ফেরত আসা ১৭ জন বাংলাদেশি তাবলীগ জামাতের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষার জন্য ইমিগ্রেশন মেডিক্যাল অফিসে পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার অশরাফুর জামান জানান, ভারতে আটকা পড়া ১৭ জন তাবলীগ জামাতের সদস্যরা বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে এসে পৌঁছেছে। তাদের প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গণজামায়াতে অংশ নিয়েছে। এছাড়া তাদের কারাগারে থাকতে হয়েছে। তারা করোনা আক্রান্ত হতে পারে এই সন্দেহে তাদের যশোরের গাজীর দরগায় ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আশঙ্কা মুক্ত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০
এনটি