ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এএসআইকে চড় মেরে সমালোচিত বামনার ওসি

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২০
এএসআইকে চড় মেরে সমালোচিত বামনার ওসি এএসআইকে চড় মারছেন ওসি

বরগুনা: বরগুনার বামনা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নজরুল ইসলামকে চড় মেরে সমালোচিত হচ্ছেন একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস আলী তালুকদার।  

গত দু’দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে এনিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

 

৩১ জুলাই কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তাকে হত্যার পর তার গাড়িতে থাকা তথ্যচিত্র নির্মাণের সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং পরে শিপ্রা রানী দেবনাথকে আটক করে পুলিশ। সিফাত ও শিপ্রা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। তাদের বিরুদ্ধে পরে মামলাও দেওয়া হয়েছে।  

সিফাতের মুক্তি দাবিতে তার নিজ জেলা বরগুনার বামনা উপজেলায় শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বরগুনার বামনা উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় সিফাতের সহপাঠীরা মানববন্ধন শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে ওই মানববন্ধনে মাইক কেড়ে নিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে বামনা থানা পুলিশ। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করতে দেরি হওয়ায় এএসআই নজরুলকে প্রকাশ্যে চড় মারেন ওসি। এতে চারিদিকে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। লাঠিচার্জে প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।  

মানববন্ধনের আয়োজক বামনা সারওয়ারজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী মনোতোষ হাওলাদার বলেন, সিফাত আমাদের সহপাঠী ও একই এলাকার বাসিন্দা। তাকে আটক করে দু’টি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিনা অপরাধে এতবড় ঘটনার একজন সাক্ষীকে জেলে পাঠানো কিছুতেই কাম্য নয়। আমরা দ্রুত সিফাতের মুক্তি দাবি করছি, একইসঙ্গে সিনহা রাশেদ খানের হত্যার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

বামনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস আলী তালুকদার জানান, সিনহা হত্যা একটি রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ সদস্যরা কাজ করেছে। কাউকে লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে এএসআইকে চড় মারার বিষয়টি তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশ।  এ ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে।

বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন আমতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম এবং ইন্সপেক্টর (ক্রাইম) মো. সোহেল।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, সিফাতের মুক্তির দাবিতে করা মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে ঘটা পুরো ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি এ কমিটির প্রধান। আগামী তিনদিনের মধ্যে আমরা আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।