ঢাকা: পার্বত্য শান্তি চুক্তি হলেও আদিবাসীরা এখন নানা কারণেই ভালো নেই। আদিবাসীদের অনেক বিষয়ই এখনো স্বীকৃত নয়।
রোববার (৯ আগস্ট) আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত দিনব্যাপী ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আদিবাসীদের দাবি মোতাবেক আমরা তাদের সেভাবে স্বীকৃতি দিতে পারিনি। এটা দুঃখের। তবে আমরা আশা করি খুব দ্রুতই এই সমস্যার একটা সমাধান করতে পারবো।
দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, আমরা সকলেই এটা জানি যে, আদিবাসীরা নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। অধিকাংশ সময় তারা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। অথচ মানুষ হিসেবে তাদের সে অধিকারগুলো দরকার। আমরা আদিবাসীদের সংগ্রামের সহভাগী হতে চাই।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইব) পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আদিবাসীরা নিজ দেশে প্রবাসী। অধিকারহীনতা, বঞ্চনা, মৌলিক অধিকার হরণ, দখল, উচ্ছেদ, ভূমি অধিকার ভুলন্ঠিত হওয়ার যত আয়োজন আছে, বর্তমানে তার সবকিছুই হচ্ছে আদিবাসীদের ওপর। অথচ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, আদিবাসীরা তাদের জীবন রাষ্ট্রকে দিয়ে গেলেন। কিন্তু রাষ্ট্র সেভাবে আদিবাসীদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেনি। এখন সময় এসেছে তাদের অধিকার তাদের জন্য বুঝিয়ে দেওয়ার।
সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে দিনব্যাপী এ ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়।
আয়োজনের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। সভাপতির বক্তব্য দেন ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা।
এসময় তারা বলেন, দেশের সব মানুষের মতো আদিবাসীরাও এ দেশের নাগরিক। কিন্তু আজও আদিবাসী জনগণের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো নয়। বিশেষত ভূমি কমিশন পুরোপুরি অকার্যকর অবস্থায় রয়ে গেছে। আদিবাসী দিবসে আশা করছি, আদিবাসীদের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আদিবাসী-বাঙালি হাতে হাত ধরে সামনে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি