মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তবে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন দেখা দিয়েছে।
শনিবার (৮ জুলাই) দিনগত রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ইস্পাহানি কোম্পানির মালিকানাধীন মির্জাপুর চা বাগানের ফাড়ি বাগান বৌলাছড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- অলকা তন্তরায় (৩৫) ও বিকুল তন্তবায় (৪০)। স্ত্রী অলকা মির্জাপুর চা বাগানের ফাড়ি বাগান বৌলাছড়ার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্বামী বিকুল বন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ জের ধরে রাতের কোনো এক সময় স্ত্রীকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে স্বামীও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহতদের বড় মেয়ে সুভা তন্তবায় (১২) জানায়, রাতে সে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রোববার (৯ জুলাই) সকালে ঘুম থেকে উঠে মা-বাবার ঘরে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় সে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে মায়ের গলা কাটা ও পাশেই বাবার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে।
সে আরও জানায়, তার বাবা-মার মধ্যে কোনো ঝগড়া বিবাদ ছিল না।
নিহত বিকুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী রত্না তন্ত বায় (৪৫) জানান, সকালে সুভার চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে মেঝেতে অলকার রক্তমাখা মরদেহ দেখেন। পাশেই দেবর বিকুলের মরদেহ। তিনিও অলকা ও বিকুল মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ছিল না বলে জানান।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ ছালেক বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমে স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। তারপর নিজে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করে জোড়া মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দা উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর জোড়া হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০
বিবিবি/আরবি/