ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মঠবাড়িয়ায় চার হাজার টাকার জন্য খুন হন একই পরিবারের ৩ জন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২০
মঠবাড়িয়ায় চার হাজার টাকার জন্য খুন হন একই পরিবারের ৩ জন গ্রেফতাররা। ছবি: বাংলানিউজ

পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চার হাজার টাকার জন্য একই পরিবারের তিন জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

মঠবাড়িয়ার আলোচিত ট্রিপল মার্ডার রহস্য উদঘাটন হয়েছে।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের প্রধান নায়ক মো. অলী বিশ্বাস (৩৮) ও মো. রাকিব বেপারী (২০) নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান শনিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই দুইজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
এসময় তিনি জানান, গত শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাত ১টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের মৃত তোজাম্বর আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. অলী বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপর কিলার একই গ্রামের কাওসার বেপারীর ছেলে মো. রাকিব বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়।  

পুলিশ সুপার আরো জানান, অলীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, নিহতের বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত কিছু টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে চার জন অংশ নেয়। গ্রেফতার প্রধান আসামি অলী এবং নিহত অটোচালক আয়নাল হোসেন একই সঙ্গে অটো চালাতেন। হত্যাকাণ্ডের আগের দিন বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে অলী আয়নালকে টাকা গণনা করতে দেখেন। ওই টাকা চুরি করতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢোকেন অলী। এ সময় অলী ও অন্যদের চিনে ফেলেন এবং অলীর নাম ধরে ডাকেন আয়নাল। এতে তারা তাকেসহ তার স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে হত্যা করেন।
   
জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাফা গ্রামের অটোচালক মো. আয়নাল হোসেন হাওলাদার (৩৫), তার স্ত্রী খুকু মনি (২৫) ও তার আড়াই বছরের শিশু কন্যা আঁখি আক্তারকে গত ৩০ জুলাই রাতে ঘাতকরা হত্যা করে। পরে নিহতদের সবাইকে দু’হাত কাপড় দিয়ে বেঁধে ওই ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।        
নিহত আয়নাল হোসেন ওই গ্রামের মৃত রত্তন হাওলাদারের ছেলে। তিনি ৩ বছর আগে ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরে বাড়ির কাছের মোজাম্মেল  হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।  

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান জানান, গত  শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীরা আয়নাল হোসেনের কোনো সাড়া না পেয়ে তার ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দিলে ভেতরে তিন জনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে থানা পুলিশকে  খবর দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।