ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গরুর খামারের ঘর তৈরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩০ জন দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মণিপুর বন্দরবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতরা হলেন- মন মিয়া (৩৮), দুলাল মিয়া (২০), ইয়াছিন (৩৬), এরশাদ (৩৫), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), হেলাল মিয়া (১৯), নাজমুল (১৫), জয়নাল মিয়া (৪৫), দারু মিয়া (৩৫), সোহাগ মিয়া (১৫), আক্তার (৪০), দ্বীন ইসলাম (৩৫), জাকারিয়া (১৭), অলিউল্লাহ্ (৪৫), আমিন মিয়া (৩৫), জুবাইর (২৪), সেলিম মিয়া (৫০), সাচ্চু মিয়া (৫২), শাহাবুদ্দিন (৩০), শাহীন মিয়া (৩০), শরীয় (৩২), কুদ্দস মিয়া (৩৫), কাল্লু (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) সেলিম মিয়ার সঙ্গে একই ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে লিলু মিয়া ও গনু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি লিলু মণিপুর গ্রামের দুলি বাড়ি সংলগ্ন শেখ হাসিনা সড়কের কিছু অংশ দখল করে গরুর খামারের জন্য ঘর তৈরি করতে গেলে ইউপি সদস্য সেলিম বাঁধা দেন। এ নিয়ে সেলিমের সঙ্গে লিলু ও সোহেলের বাদানুবাদ হয়।
শনিবার দুপুরে সড়কের জায়গা দখল করে ঘর তৈরির বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের জন্য বিজয়নগর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে সার্ভেয়ার চলে আসার পর লিলু ও সোহেল তার দলবল নিয়ে মণিপুর বন্দরবাজারে সেলিমের সমর্থকদের কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করে। এরপর উভয়পক্ষের কয়েকশ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ৩০ জন দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২০
আরএ