ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিগগিরই শুরু হচ্ছে সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট-তেমুখি সড়কের কাজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২০
শিগগিরই শুরু হচ্ছে সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট-তেমুখি সড়কের কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট-তেমুখি সড়কের কাজ

সিলেট: সিলেট এয়ারপোর্ট-বাদাঘাট-তেমুখি সড়ক পরিদর্শন করেছেন সড়ক ও  মহাসড়ক বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। শনিবার (৮ আগষ্ট) এয়ারপোর্ট থেকে বাদাঘাট হয়ে তেমুখি পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কের রুপরেখা পর্যবেক্ষণ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

এ সময় প্রতিনিধি দলের প্রধান সিলেট সড়ক বিভাগ কর্তৃক তৈরীকৃত প্রস্তাবিত সড়কের নকশা (ম্যাপ) ত্রুটিপূর্ন থাকায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিজ্ঞ সার্ভেয়ার নিয়োগ করে ডিজিটাল সার্ভে (টিবিএম) দিয়ে সংশোধিত ম্যাপ তৈরী করতে সওজ সিলেট অফিসকে নির্দেশ প্রধান করেন।

একইসঙ্গে সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকায় রানওয়ে সম্প্রসারণে প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনে সিলেট এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ওই এলাকার রাস্তার ম্যাপ তৈরী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রতিনিধি দলের প্রধান বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান জাকির হোসেন বলেন, আমরা সিলেটের সড়কের বাস্তব অবস্থা সরজমিন পর্যবেক্ষণের জন্য এখানে এসেছি। আমাদের পর্যবেক্ষণ সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানোর পাশপাশি পূর্বের ম্যাপ সংশোধনের মাধ্যমে এই সড়কের পূর্নাঙ্গ প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হবে। এতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু এ রাস্তার জন্য সিলেটে এসেছি, তাহলে অবশ্যই এ রাস্তার কাজ পূর্ণাঙ্গ হবে।

বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান জাকির হোসেন ছাড়াও পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপ-প্রধান শামিম উজ্জামান, সওজের রোড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিকী, পরিকল্পনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজা, সওজ সিলেটের তত্ত্বাধদায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আমিন, অতিরিক্ত প্রকৌশলী তুষার সিনহা, সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বডুয়া।

এদিকে, সড়ক পরিদর্শন শেষে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সিলেট সার্কিট হাউসে মতবিনিময় করেন ঢাকা থেকে আসা প্রতিনিধি দল। এ সময় তাদের কাছে সিলেট-এয়ারপোর্ট, কোম্পানীগঞ্জ সড়ক সম্প্রসারণ এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেন করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

সভায় অংশ নেওয়া সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল বলেন, সিলেট-এয়ারপোর্ট সড়ক এবং কোম্পানীগঞ্জ সড়ক কেবল পাথর পরিবহণের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ অঞ্চলে
ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন হচ্ছে। পাশাপাশি এখানে পর্যটন কেন্দ্র সাদা পাথর, বিছানাকান্দি, পান্থুমাই ঘিরে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। যে কারণে যানবাহন চলাচল বেড়েছে।

তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জ সড়কেই গড়ে ওঠছে হাইটেক পার্ক। যে কারণে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কেও  যানচলচলে বেড়েছে ব্যস্ততা। তাই আমরা সড়ক সম্প্রাসরণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রতিনিধি দলের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আশাবাদি সরকার সিলেট-ঢাকা মহাসড়ককে ৪ লেন করার উদ্যোগ নিলেও আগামি ১০ বছর পরের চিন্তা মাথায় রেখে ৬ লেন করার জন্য এখনি যেনো ভূমি অধিগ্রহণ করে রাখা হয়।

২০১০ সালে এয়ারপোর্ট-বাদাঘাট-তেমুখি সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে গত ১০ বছরেও সাবেক অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগ পূর্ণতা পায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রচেষ্টায় প্রায় ১০ বছর পর রাস্তাটি সম্প্রসারণ আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা,, আগস্ট ০৮, ২০২০
এনইউ/ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।