ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ছয়জনের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২০
চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ছয়জনের দুর্ঘটনাকবলিত বাস-আলমসাধু, ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজার এলাকায় বাসের ধাক্কায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

শনিবার (৮ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার বাসু ভাণ্ডারদহ গ্রামের নিতাই হাওলাদারের ছেলে ষষ্ঠি (৪০), খাড়াগোদা গ্রামের মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে গ্রাম্য চিকিৎসক মিলন আলী (৪০), তিতুদাহ গ্রামের নিয়ত আলির ছেলে রাজু (৩৮), একই গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে শরিফ হোসেন (৪৫), নুতা মণ্ডলের ছেলে সোহাগ (২৫) ও হায়দার আলির ছেলে কালু (৪৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরে সরোজগঞ্জ বাজারের অদূরে একটি তেল পাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বেশ কয়েকটি স্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন ও আলমসাধু। তার উপরই বসেছিলেন ১০ থেকে ১৫ জন দিনমজুর। এসময় চট্টগ্রাম থেকে মেহেরপুরগামী রয়েল পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি আলমসাধু ও একটি মটরসাইকেলের উপর উঠিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দু’জন। আহত হন অন্তত নয়জন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দু’জন ও আহত নয়জনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আরও চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রাজু, সোহাগ, শরীফ, ষষ্ঠি ও কালু দিনমজুর। পেটের তাগিদে শ্রম বিক্রি করতে সরোজগঞ্জ বাজারে এসেছিলেন তারা। আর গ্রাম্য চিকিৎসক মিলন আলী প্রাতঃভ্রমণে বের হয়েছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দু’টি মরদেহ উদ্ধার করি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও চারজন। বেপরোয়া গতি ও চালকের অসতর্কতা দুর্ঘটনার মূল কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তিনি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে ঘাতক রয়েল পরিবহনের চালক ও বাসটিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত করে ঘাতক বাসের চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এসময় তিনি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী ও ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২০, আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।