ঢাকা: রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলকার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ডেভেলপার কোম্পানি সজীব বিল্ডার্সের মালিক আবুল খায়েরকে (৫২) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে তার মাথা থেতলানো রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) কে বা কারা আবুল খায়েরকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর বাসায় ফেরেননি, রাতেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের লোকজন। শুক্রবার সকালে নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচতলা থেকে তার রক্তক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আবুল খায়েরের ছোট ভাই আবদুল বারী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে আবুল খায়েরের মোবাইলে একটি কল আসে। এরপর তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে যান। রাতেও যখন তিনি ফিরছিলেন না, তখন বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করা হয় এবং ভাটারা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রায় আট বছর আগে সজীব বিল্ডার্স নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানি চালু করেন আবুল খায়ের। তবে প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যালয় ছিল না। নিজের বাসাতেই ব্যবসায়িক কাজ চালাতেন তিনি।
নিজে আবাসন ব্যবসা শুরুর পর বসুন্ধরা ও বাড্ডায় দু’টি ভবন নির্মাণ করেছেন। এর একটি বসুন্ধরার এফ ব্লকের ২১ নম্বর সড়কের ৬৯২ নম্বর ভবন, যেখানে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। বসুন্ধরা এম ব্লকের যে নির্মাণাধীন ভবনটির নিচে তার মরদেহ পাওয়া গেছে, সেটি ছিল তার তৃতীয় নির্মাণাধীন ভবন। ভবনটি দশতলা বানানোর কথা থাকলেও গত ফেব্রুয়ারিতে চারতলার ছাদ পর্যন্ত হওয়ার পর থেকে কাজ বন্ধ ছিল।
আবদুল বারীর ধারণা, নির্মাণাধীন ভবন নিয়ে বিরোধের জের ধরে আবুল খায়েরকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ জানায়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড এবং এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবুল খায়েরের পরিবারের লোকজন তার মরদেহ পাওয়ার খবর থানা-পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, মরদেহের সুরতহালে দেখা গেছে তার মাথার মগজ বেরিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বেধড়ক পিটুনিতে তিনি মারা গেছেন। আমরা ঘটনার সম্ভাব্য কারণ ও জড়িতদের বের করতে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ঘটনাস্থল নির্মাণাধীন ভবনটির নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় সেখানে কোনো লোকজন ছিল না। কারা তাকে ডেকে নিয়ে গেলো, আর কারা তাকে হত্যা করলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের খুঁজে বের করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২০
পিএম/এএ