ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘জাদুঘর কেন্দ্রিক প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় দেওয়া হবে বৃত্তি’

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২০
‘জাদুঘর কেন্দ্রিক প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় দেওয়া হবে বৃত্তি’ জাতীয় জাদুঘর/ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জাদুঘর কেন্দ্রিক প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় উৎসাহ দিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে বৃত্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

শুক্রবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ১০৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাদুঘর কেন্দ্রিক প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে বৃত্তি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে জাদুঘরের উন্নয়নে গ্রহণ করা হবে বিভিন্ন পদক্ষেপ।

জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফিন বলেন, বর্তমান দুনিয়ার অনেক নতুন দেশের বয়সও ১০৭ বছর নয়। সেই হিসাবে আমাদের জাদুঘরটিও এখন একটি প্রত্নসম্পদ।

আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. মফিদুল হক বলেন, একটি জাদুঘরের ১০৭ বছরে যাত্রা অনেক বড় কিছু। জাদুঘর অতীত নিয়ে কাজ করে, কিন্তু তা বর্তমানের সঙ্গে যুক্ত এবং ভবিষ্যতের নির্মাতা। করোনার সময় জাদুঘর বন্ধ আছে ঠিক, কিন্তু তার দ্বার বিভিন্নভাবে খোলা। আর জাদুঘর শুধু ঐতিহ্যের সংগ্রাহক নয়, ঐতিহ্যের নবায়ন ঘটাবে, এমনটাই প্রত্যাশা করি আমরা। একইসঙ্গে দেশের জাদুঘরগুলোর সঙ্গে যদি আমরা একটি যোগসূত্র করতে পারি, তবে তা আরও বড় ব্যাপার হবে আমাদের জন্য।

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, জাদুঘর শুধু আলাদা একটি বিষয় নয়, এর একটি সৌন্দর্য আছে, নান্দনিকতা আছে। একজন সাধারণ মানুষ যখন জাদুঘরে প্রবেশ করে তখন সে আর সাধারণ মানুষ থাকে না। সে একজন জ্ঞানী মানুষ হয়ে যায়, একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ হয়ে যায়। আমরাও আমাদের জাদুঘরকে একটি নান্দনিক মাত্রায় নিয়ে যাবো। তবে দুঃখ, আমাদের দেশের শিক্ষিত এবং উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ খুবই কম আসে। যারা আসে, তারা নিতান্তই ঘুরতে আসে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের জাদুঘরকে সাজাতে হবে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, জাদুঘর আমাদের অতীতকে ভবিষ্যতের সাথে যুক্ত করে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ১০৭ বছর ধরে সেই কাজটি করে যাচ্ছে। জাদুঘর একটি জাতির জন্য শুধু প্রদর্শনীর স্থান নয়, সংরক্ষণের স্থান, জানার স্থান, জ্ঞানের স্থান।

প্রত্নতত্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া বলেন, বর্তমানে অনেক জাদুঘরের প্রত্নসম্পদেরই ক্যটালগ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। এক্ষেত্রে এসব অবজেকটিভ গবেষণার ক্ষেত্রে সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের জাদুঘরকে আরও সহজ এবং সবার কাছে আরও উৎসাহমূলকভাবে তুলে ধরতে হবে।

আলোচনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি সোনিয়া আমিন, এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের প্রত্নতত্ত বিভাগের অধ্যাপক একেএম শাহেনেওয়াজ ও জাতীয় গণগ্রন্থাগারের মহাপরিচালক আবুবকর সিদ্দিক।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad