ভোলা: ভোলায় তিন দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে রয়েছে বাঁধের বাইরের হাজারো মানুষ। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের এসব বাসিন্দারা।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকেই মেঘনার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা।
পানিতে ভেসে গেছে বানভাসি মানুষের মাছের ঘের, হাঁস-মুরগিসহ ঘরের আসবাবপত্র। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। পানির কারণে বেশিরভাগ মানুষ ঘরে রান্না করতে পারছে না। এতে মানবেতর দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।
ভোলার নাছির মাঝি, জোরখাল, রামদাসপুর, কলাতলীর চর, ঢালচর, চর পাতিলা, মদনপুর ও কচুয়াখালীর চরসহ অন্তত ১০টি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ও চরের মানুষ পানির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও পূর্ণিমার জোয়ারে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যে কারণে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রামদাসপুর এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক কবার হোসেন বলেন, জোয়ারের পানিতে চর রূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টেবিল, চেয়ার, বোর্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, স্কুলের শুধু চালা পড়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, রামদাসপুর এলাকার বেশিরভাগ মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাছির মাঝি এলাকার পানিবন্দি রহিমা বলেন, জোয়ারের পানিতে ৪টি হাঁস ও ঘরে থাকা চাল নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, গত ৩ দিন ধরে বাঁধের বাইরের জনপদ নাছির মাঝির অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। অনেকে মাছের ঘেরসহ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি ঢুকে যাওয়ায় রান্নাঘরে চুলা জ্বলছে না, কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন শতাধিক পরিবার।
এদিকে সকালে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মান্নান খান বলেন, আকস্মিক জোয়ারে সদরের তিন কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত বাঁধ মেরামতের কাজ করছে। শুক্রবারও মেঘনার পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২০
আরএ