পটুয়াখালী: প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের পর কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় ছুটছেন কর্মজীবী হাজারো মানুষ।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) যাত্রীদের চাপ সামলাতে পটুয়াখালী নদীবন্দরে অতিরিক্ত আরও দু’টিসহ মোট ছয়টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বিকেলে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। লঞ্চগুলোতে সকাল থেকেই যাত্রীরা আসতে শুরু করেন। যাত্রীর ভীড়ে মুখর হয়ে ওঠে পন্টুন।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও নিরাপদে লঞ্চে ওঠাতে কাজ করছে পুলিশ, স্কাউট, আনসার ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীসহ নৌবন্দরের কর্মচারীরা।
মাইকিং ও পোস্টার বিলবোর্ডের মাধ্যমে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠতে নিষেধ করা হচ্ছে। তারপরও হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলি করে অনেক যাত্রী লঞ্চে উঠছেন।
এর মধ্যে এমভি সুন্দরবন-০৯, এমভি রয়েল ক্রুজ-০২, এমভি এ আর খান-১, এমভি কুয়াকাটা-০১, এমভি কাজল-৭ এবং পরে এমভি প্রিন্স আওলাদ ঘাটে আসে।
এছাড়া কলাপাড়া থেকে চারটি, রাঙ্গাবালী থেকে দু’টি, গলাচিপা থেকে দু’টি ও কালাইয়া থেকে দু’টিসহ জেলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে মোট ১৬টি লঞ্চ ছেড়ে যায়।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নৌপথ। তুলনামূলক কম ঝুঁকি এবং স্বল্প ভাড়ার কারণে নৌপথে আগ্রহ বেশি যাত্রীদের। তাই সব সময়ই বিশেষ অনুষ্ঠানে এ পথে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। যাত্রীদের সব ধরনের সেবা দিতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবী, আনসার ও বিআইডব্লিউটিএ সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো লঞ্চ ওভার লোড করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবিনের যাত্রী চলে এলেই লঞ্চ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২০
এসআই