মুন্সিগঞ্জ: পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্রোতের কারণে শিমুলিয়ায় মোট চারটি ফেরি ঘাটের মধ্যে দু’টি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে এবং একটি ফেরিঘাট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে।
তবে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় তেমন গাড়ি নেই।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে। আর পদ্মায় স্রোত থাকার কারণে ফেরিগুলো স্বাভাবিক সময়ের থেকে তিনগুণ বেশি সময় নিয়ে চলাচল করছে।
যাত্রীরা জানান, সীমিত সংখ্যক ফেরি চালু থাকায় দুর্ভোগ সীমাহীন। তার ওপর মাঝ পদ্মায় তীব্র স্রোত। ফলে নির্দিষ্ট নৌরুট থেকে ছিটকে দূরে সরে যায় ফেরি। আর একটি ঘাট দিয়ে ফেরি পারাপার হচ্ছে। যার কারণে সময়ও বেশি লাগছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর থেকে তিনটি কে-টাইপ ফেরি ও দু’টি মিডিয়াম ফেরি চালু আছে। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে দীর্ঘদিন থেকেই ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল।
অন্যদিকে শিমুলিয়ায় চারটি ফেরি ঘাটের মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে দু’টি। এখন এক নম্বর ফেরিঘাট সচল আছে। ফলে একটি ঘাটের কারণে যাত্রীদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সকাল ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, এক নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে ফেরিগুলো যাত্রী পারাপার করছে। নদী ভাঙন এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধ করার চেষ্টা চলছে। অন্য দু’টি ফেরিঘাটও ঝুঁকির মধ্যে আছে। এখনই ফেরিঘাট স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারিফ আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মার ভাঙনে চার নম্বর ফেরি ঘাটের প্রায় সাড়ে একর জায়গা বিলীন হয়ে গেছে। পাশাপাশি দু’টি ঘাটের এখন সাত একর জায়গা পদ্মায় তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধ করা হয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটের নৌপুলিশের ইনচার্জ কর্মকর্তা সিরাজুল কবীর বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের বেশি উপস্থিতি। তাই করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২০
এসআরএস