ঢাকা: জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৫ আগস্ট) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ শেখ কামাল ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতার পরিবারের সব শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একাধারে দক্ষ সংগঠক, ক্রীড়াবিদ, সঙ্গীত শিল্পী, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বহুমুখী গুণের অধিকারী এই প্রতিভাদীপ্ত তরুণ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের যুবসমাজকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।
শেখ কামালকে চিরতারুণ্যের প্রতীক আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের একজন পুরোধা এবং স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠী নামে সঙ্গীত সংগঠনসহ অসংখ্য উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত শেখ কামালের রেখে যাওয়া আদর্শ উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে আজীবন বাংলাদেশের যুবসমাজকে পথ দেখাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুণ শেখ কামালের স্বপ্ন।
স্বাগত বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২০
টিআর/এইচজে