ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লেবাননে নিহত মিজানুরের বাড়িতে শোকের মাতম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২০
লেবাননে নিহত মিজানুরের বাড়িতে শোকের মাতম লেবাননে নিহত মিজানুরের বাড়িতে শোকের মাতম

মাদারীপুর: লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত তিন বাংলাদেশির একজন মাদারীপুর জেলার কালকিনির মিজানুর রহমান খান। সন্তানের নিহতের খবর বাড়িতে পৌঁছালে শোকের মাতম উঠে বাড়িতে।

পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে পুরো পরিবারসহ গ্রামের মানুষ এখন নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে।

নিহত মিজানুর রহমান কালকিনির শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের কাজীকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লেবাননের বৈরুত শহরে যায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের কাজীকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে মিজানুর রহমান খান। সেখানে একটি হোটেলে চাকরি করতেন মিজানুর রহমান।  

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) লেবাননে বোমা বিস্ফোরণে মারা যান মিজানুর। দেশের বাড়িতে মিজানুরের মারা যাওয়ার খবর আসলে পুরো পরিবারসহ গ্রামের মানুষ শোকে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে। ধারদেনা করে ৬ লাখ টাকা দিয়ে পরিবারের অর্থকষ্ট দূর করার জন্য মিজানুরকে লেবাননে পাঠানো হয়।  

ভাই-বোনের মধ্যে মিজানুর সবার বড়। তারা তিন ভাই ও এক বোন। মিজানুর রহমানের মা ঢাকার একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো। সেসময় একটি দুর্ঘটনায় তার মায়ের দুই হাতের ছয়টি আঙ্গুল পুড়ে যায়। বর্তমানে তিনি অসুস্থ্য অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন। সন্তানের মৃত্যুর খবরে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি।

তার স্ত্রী ও তিন বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ঢাকায় কারখানায় কাজ করা অবস্থায় মিজানুরের মায়ের দুই হাতের ছয়টি আগুল পুড়ে যায়। তিনি এখন অসুস্থ্য অবস্থায় গ্রামের বাড়িতেই থাকছেন। বাবা কৃষি কাজ করে কোন মতে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছে।  

মিজানুরের বাবা জাহাঙ্গীর খান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আমার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি আমাদের মিজান বোমা বিস্ফোরণে মারা গেছে। আমি আমার সন্তানের মরদেহ দ্রুত দেশে ফেরত চাই।  

কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, মিজানুরের মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। ওর পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতাসহ যতো ধরনের সহযোগিতা লাগবে তার ব্যবস্থা করবো আমরা। মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্যেও সর্বাত্মাক চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।