ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নববধূর পরকীয়ার বলি মাইক্রোচালক বেলাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২০
নববধূর পরকীয়ার বলি মাইক্রোচালক বেলাল আটক আলমগীর ও ইনসেটে বেলাল। ছবি: বাংলানিউজ

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় বেলাল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ ঘাতক আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা।

গ্রেফতার আলমগীর হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোস্তফি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি নিহত চালক বেলাল হোসেনের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী লাবনী বেগমের দুলাভাই।

নিহত মাইক্রোবাস চালক বেলাল হোসেন (২৯) লালমনিরহাট সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।  

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, শ্যালিকা লাবনী বেগমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল দুলাভাই আলমগীর হোসেনের। গত ২৪ জুন হঠাৎ করে পারিবারিকভাবে লাবনীর সঙ্গে বিয়ে হয় মাইক্রোচালক বেলালের। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি নববধূ  লাবনীর পরকীয়া প্রেমিক দুলাভাই আলমগীর হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেলালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।

গত ২৫ জুলাই (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলমগীর হোসেন বেলালকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। এরপর তাকে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের যুগিটারী গ্রামে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে পাটক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায় ঘাতক আলমগীর ও তার সহযোগীরা। এর দুই দিন পরে ২৭ জুলাই স্থানীয়দের দেওয়া খবরে বেলালের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।  

এ ঘটনায় পরদিন নিহত বেলালের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা (২৯) দায়ের করেন। ক্লু-লেস এ হত্যা মামলাটি আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান আনিচ তদন্ত করে সন্দেহজনকভাবে বেলালের নববধূ লাবনী বেগমকে (২১) আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গত সোমবার (৩ আগস্ট) সদর উপজেলার বড়বাড়ি থেকে ঘাতক দুলাভাই আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আলমগীর হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে হত্যার অস্ত্র ও ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাতক আলমগীর হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান আনিচ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।