বগুড়া: বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি ১২৮ সেন্টিমিটার থেকে পর্যায়ক্রমে মোট ৭১ সেন্টিমিটার কমে বর্তমানে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
সোমবার (৩ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী মো. হুয়ায়ুন কবির।
তিনি জানান, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬.৭০ মিটার। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার হিসেব অনুযায়ী এ নদীর পানি ১৭.২৭ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ এখনও তা বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপরে। রোববার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার হিসেব অনুযায়ী যমুনা নদীর পানি ১৭.৩৩ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫.৮৫ মিটার। এখন এ নদীতে ১৫.৯৮ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানিও কিছুটা কমলেও এখনও বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর, রহদহ, বোহাইল ও সারিয়াকান্দি সদরসহ সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার মোট ১৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এবং এসব এলাকার পাট, ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
এদিকে পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্র, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ উঁচু জায়গাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া যমুনা চরের অনেকে ঘরবাড়ি ভেঙে নৌকায় করে নদীতীরে চলে আসছেন। বন্যার দুর্যোগ থেকে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে তারা চরের পৈত্রিক ভিটেমাটি ছেড়ে আসছেন।
এরই মাঝে সোমবার দুপুরে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)। পুনাক বগুড়ার সভানেত্রী রোমানা আশরাফের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২০
কেইউএ/এইচজে