ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনাকালেও জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিটেন্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২০
করোনাকালেও জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিটেন্স ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২৬০ কোটি (২.৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে এত বেশি রেমিটেন্স আগে কখনই আসেনি।

 

গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। আর গত জুন মাসের চেয়ে বেশি এসেছে ৪২ শতাংশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাসে এযাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭.২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।  

সোমবার (০৩ আগস্ট) অর্থমন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও শুধু জুলাই মাসে ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ইতিহাসে একক মাসে এর আগে কখনও এত পরিমাণ রেমিটেন্স আসেনি। গত জুন মাসের পুরো সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ১.৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর গত বছরের জুলাই এসেছিল ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।

প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে এযাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭.২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।  

গত ৩০ জুন ২০২০ তারিখে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬.০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেটি পৌঁছেছে ৩৭.২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে। রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিটেন্সের অন্তঃপ্রবাহ।  

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনার মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও নিয়মিত রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে। এক্ষেত্রে দেশ ও পরিবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখছে প্রবাসীদের রেমিটেন্স।  

প্রসঙ্গত, বিশ বছর আগে ২০০১-০২ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ২৫০ কোটি ১১ লাখ ডলার। এখন এক মাসের রেমিটেন্সই তার চেয়ে বেশি। সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার।

রেমিটেন্সে দেশের এ অনন্য রেকর্ডে প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত অর্থবছরের শুরু থেকে প্রবাসীদের প্রেরিত আয়ের উপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত আছে যার ফলে গতবছর ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে। চলতি অর্থবছরে ৩-৫ বিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। সামনের দিনে রেমিটেন্স বৈধ পথে আনতে যত কৌশল অবলম্বন করতে হয় সেটা আমরা নেব।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের রয়েছে দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মমত্ববোধ। তাদের টাকা প্রেরণে যত বাধা রয়েছে সেগুলো দূর করা হবে।  

উল্লেখ্য, চিকিৎসার ফলোআপের পরে লন্ডন থেকে আজ সকালে অর্থমন্ত্রী ঢাকায় ফিরে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজকর্ম শুরু করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘন্টা, আগস্ট ০৩,২০২০।  
জিসিজি/ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।