ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনার ট্রিপল মার্ডারে জাফরিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২০
খুলনার ট্রিপল মার্ডারে জাফরিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

খুলনা: খুলনা মহানগরীর মশিয়ালীর ট্রিপল মার্ডারে নিজের সম্পৃক্ততার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অন্যতম আসামি জাফরিন শেখ।

সোমবার (৩ আগস্ট) খুলনা মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কানাইলাল সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নগরীর খানজাহান আলী থানার (১৮ জুলাই) ১২নম্বর মামলায় তিন নম্বর আসামি জাফরিন শেখ সোমবার দুপুরে মেট্রোপলিটন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে নিজের দায় স্বীকার করেছেন তিনি। এর আগে রোববার (২ আগস্ট) তার দেওয়া তথ্যমতে, নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, দু’টি তাজা গুলি ও তিন রাউন্ড ফায়ার্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।

তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মো. এনামুল হক বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে তিন নম্বর আসামি জাফরিন শেখ নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের ব্যবহৃত দু’টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মূল আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে মামলাটির তদন্ত কাজও এগিয়ে চলেছে বলেও জানান তিনি।

গত ১৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া এবং তার ভাই খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি জাফরিন ও মিল্টন পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। মুজিবরের গ্রেফতার নিয়ে মূল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর গ্রামের বেশ কয়েকজন জাকারিয়ার বাড়িতে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে যায়। এসময় জাকারিয়া ও তার লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টন তাদের ওপর গুলি ছোড়েন। এ সময় গুলিতে নজরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, সাইফুল ইসলাম, শামীম, রবি, সুজন, রানা ও খলিলসহ ৮ থেকে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১টার দিকে সাইফুল ইসলাম মারা যায়। এ ঘটনার পর রাত ২টার দিকে বিক্ষুব্ধ অপরপক্ষের গণপিটুনিতে জাকারিয়ার সহযোগী জাহিদ শেখ (৩০) মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত সাইফুলের বাবা বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর-১২, তারিখ-১৮/০৭/২০২০ খ্রি., ধারা. ১৪৭/১৪৮/১৪৯/ ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।