ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা-বন্যায় এবার ৫ শতাংশ কমে ১ কোটি পশু কোরবানি  

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২০
করোনা-বন্যায় এবার ৫ শতাংশ কমে ১ কোটি পশু কোরবানি


  এবার ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে, ছবি: জিএম মুজিবুর  

ঢাকা: একদিকে করোনা, অন্যদিকে ৩৩টি জেলায় বেশ কিছুদিন ধরে বন্যা থাকায় এবার দেশে পশু কোরবানি হয়েছে ৫ শতাংশ কম। অনেকেরই অর্থসংকট থাকায় এবার ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে।

গতবার এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬ লাখ।  

এবার যে ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে, তার মধ্যে গরুর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বন্যা ও করোনার প্রভাবে কোরবানির পশু বিক্রির সংখ্যা কমেছে এবার। গত ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৬ লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল। সাধারণত আগের বছরের তুলনায় প্রতিবছর আরো ৫ শতাংশ যোগ হয়। কারণ প্রতি বছর ৫ শতাংশ কোরবানি বাড়ে। অথচ করোনা ও বন্যার কারণে এবার ৫ শতাংশ কোরবানি কমেছে। করোনায় সবারই আয়-রোজগার কমেছে, তাই পশুর চাহিদাও কমেছে। দেশে মোট খামারের সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯৯১টি। করোনা ও বন্যায় সব খামারি কোরবানির ঈদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

সূত্রটি আরো জানায়, এবার কোরবানির ঈদে ১ কোটি ১৯ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ছিল ৬০ লাখ। সাধারণত প্রতি বছর কোরবানির হার ৫ শতাংশ বাড়ে। কিন্তু এবার করোনা সংকটের কারণে ৫ শতাংশ না বেড়ে ৫ শতাংশ কমেছে।  

ঈদে ঢাকার কয়েকটি অস্থায়ী হাটে গরুর সংকট প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, দেশে গবাদি পশু চাহিদার তুলনায় বাড়তি ছিল। করোনার কারণে মানুষ হয়তো কোরবানি কম দেবে, এ ভয়ে বেপারিরা হাটে গরু একেবারেই কম তুলেছেন। তবে হাটে বড় গরুর অভাব না থাকলেও মাঝারি গরু কম ছিল। রাজধানীর কয়েকটি হাট বাদে সারাদেশে গরুর দামও ঠিক ছিল।
 
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (খামার) ড. এবিএম খালেদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য বছর ঈদে গড়ে ৫ শতাংশ পশু বেশি কোরবানি হয়। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনা ও বন্যার কারণে এবার ৫ শতাংশ কোরবানি কমেছে। গত বছর ১ কোটি ৬ লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল। এবার হয়েছে ১ কোটি। তবে আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম তার থেকে ভালো হয়েছে।

ঢাকার কয়েকটি হাটে ঈদের আগে গরু সংকট প্রসঙ্গে ড. এবি এম খালেদুজ্জামান বলেন, গবাদি পশুর কোনো ঘাটতি ছিল না। কিন্তু মানুষের মুখে মুখে একটা বিষয় বার বার এসেছে, করোনার কারণে গরু কোরবানি কম হবে, মানুষের হাতে টাকা নেই। ফলে অনেক বেপারি হাটে গরু তুলতে ভয় পেয়েছেন। ফলে সাপ্লাই চেইনে সমস্যা হয়েছে। ছোট গরুর সংকট হলেও বড় গরু বেশি ছিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২০
এমআইএস/এসআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।