ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকায় দুই দিনে ২০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২০
ঢাকায় দুই দিনে ২০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ঈদুল আজহার দিন থেকেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন। গত দুই দিনে ২০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ ও স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। ঈদের দিন এবং পরের দিন (গত দুই দিনে) ঢাকার ১২৯ ওয়ার্ড থেকে ২০ হাজার ১৯৮ মেট্রিকটন বর্জ্য অপসারণ ও স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসসিসি থেকে ১১ হাজার ১৯৮ মেট্রিকটন এবং ডিএনসিসি থেকে ৯ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।  

সোমবার (৩ আগস্ট) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার মধ্যেই ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ড থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ এবং স্থানান্তর করা হয়েছে। এসব বর্জ্য দক্ষিণ সিটির মাউয়াইলে অবস্থিত ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দু’দিনে ডিএসসিসির ১১ হাজার ১৯৮ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, এছাড়া ঈদের তৃতীয় দিনেও অনেক স্থানে পশু কোরবানি দেওয়া হচ্ছে। সেখানেও বর্জ্যের সৃষ্টি হবে। আমরা সেগুলো অপসারণের জন্য মাঠে কাজ করছি। আশা করছি, আগামী ৮ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো।

এদিকে,গত দুই দিনে ঢা‍কা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ৯ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এসব বর্জ্য সংগ্রহের পর সেগুলো করপোরেশনের ট্রাকে করে আমিনবাজার ময়লার ভাগারে (ল্যান্ডফিল্ডে) স্থানান্তর করা হয়েছে।

এবিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বক মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) পাশাপাশি ডেঙ্গুর চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবছর আমরা ঈদুল আজহা উদযাপন করেছি। এবারের ঈদটি আমাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিলো। এত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও পুরো নগরীর কোরবানির সব বর্জ্য সঠিক সময়ে অপসারণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও স্থানান্তরের কাজটি করেছেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। পুরো নগরীকে সঠিক সময় পরিচ্ছন্ন করায় আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, এ ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা বা রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। আসুন আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকাকে সবসময় এমন পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। নগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে আমরা সবাই সুস্থ থাকতে পারবো।

ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোথাও কোরবানির বর্জ্য দেখা যায়নি। সরেজমিনে ডিএনসিসির উত্তরা ৪, ৬, ৭, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর সেক্টর, বিমানবন্দরের আশকোনা, কাউলা, খিঁলক্ষেত, বাড়িধারা, গুলশান এলাকায় ঘুরে কোথাও গরুর বর্জ্য, খড়, বাঁশ, গোবর বা বালু পড়ে থাকতে দেখা যায়নি।

এসব এলাকার অনেক স্থানে ঈদের তৃতীয় দিনেও পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তৃতীয় দিনে যারা কোরবানি দিচ্ছেন নিজ উদ্যোগেই তারা বর্জ্য অপসারণ করবেন। পশুর বর্জ্য ব্যাগে ভরে নির্ধারিত স্থানে রাখছেন।

দক্ষিণ সিটিতেও একই চিত্র দেখা গেছে। যেসব স্থানে পানি জমে আছে সেসব স্থানে জিবাণুনাশক ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনো দুর্গন্ধ না ছড়ায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২০
এসজেএ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।