খুলনা: ঈদের ভরা মৌসুম হলেও খুলনায় দূপাল্লার বাসগুলোতে যাত্রীর চাপ সেভাবে নেই। করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে কর্মস্থল ত্যাগে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে অনেকেই এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি যাননি।
খুলনার সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, শিববাড়ির মোড় ও রয়্যালের মোড়ের দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোয় গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য বছরের মতো এবার ঈদের ফিরতি যাত্রায় যাত্রীর চাপ নেই।
করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমানে বাসের প্রতি দুই আসনে একজন করে যাত্রী বহনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের। এ জন্য প্রত্যেক যাত্রীর নির্ধারিত ভাড়া ৫০ শতাংশ করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারে মানুষজন সেভাবে ঈদের ছুটিতে গ্রামে আসেননি। এদিকে যাত্রী কমায় বাসের সংখ্যাও কমিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।
সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে খুলনার বাস কাউন্টারগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হলে বাংলানিউজকে তারা জানান, ঈদুল আজহার পর ফিরতি যাত্রা শুরু হলেও এখনও যাত্রীর ততটা চাপ নেই। অন্য বছর এই সময়ে বাস টার্মিনালে দাঁড়ানোর মতো জায়গা থাকতো না। এবার যাত্রী হচ্ছে না।
রয়্যালের মোড়ের হানিফ পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের কর্মকর্তারা জানান, এখন স্বাভাবিক সময়ের মতো যাত্রী। ঈদের বাড়তি চাপ তেমন নেই। যে কেউ চাইলেই টিকিট পাচ্ছেন। যদিও অন্যবছর এমন সময় ফিরতি টিকিট দেওয়াটা দায় ছিল।
দিদার পরিবহনের ম্যানেজার কামরুল ইসলাম বলেন, মানুষ এবারে ঈদে গ্রামে বেশি আসেনি। তাই যাওয়ার চাপও নেই।
সৌদিয়া পরিবহনের কর্মকর্তা মামুন বলেন, করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে কর্মস্থল ত্যাগে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে অনেকেই ঈদ করতে গ্রামে আসেননি। এ কারণে যাত্রীর চাপ কম।
তবে ভিন্ন চিত্র ট্রেনে। বাসে যাত্রীর চাপ না থাকলেও ট্রেনে অনেকটাই চাপ লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট আসন পূর্ণ করেই চলছে ট্রেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২০
এমআরএম/এইচজে