বাগেরহাট: সারাবিশ্ব থমকে আছে এক করোনা ভাইরাসে। বৈশ্বিক এই মহামারিতে কে কী করবে, কীভাবে বাঁচবে- এই নিয়ে সবাই চিন্তিত! এর মধ্যে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা।
করোনার মধ্যেও থেমে নেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু জবাই বা কোরবানি। বাগেরহাটেও হাজার হাজার পশু কোরবানি করেছে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ, পরিবেশ দূষিত না করা ও সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষনের জন্য বাগেরহাট শহরের সরুই মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
শনিবার (০১ আগস্ট) ঈদের নামাজ শেষে এই মাদরাসা চত্বরেই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ৫৬ গরু জবাই করা হয়েছে। বিধিসম্মত সবাই নিজেদের গরু এখানে এনে জবাই করে ভাগ করে মাংস নিয়ে গেছেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাসেবকরা পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে অপসারণ করেছেন দূর্গন্ধ ছড়ানোর আগেই। কোনো ঝামেলা ছাড়া নিজেদের কোরবানির পশু মাদরাসা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জবাই করতে পেরে খুশি অনেকেই। এলাকাবাসীও খুশি রাস্তায় ও পথে ঘাটে পশুর ময়লা না থাকায়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগেরহাট শহরের ঐতিহ্যবাহী সরুই মাদ্রাসা চত্ত্বরে পশু কোরবানি দেওয়ার খবর পেয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ফিরোজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এ বাকি তালুকদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কোরবানি দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সরুই মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ফিরোজুল ইসলাম বলেন, শহরের বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় যারা কোরবানি দেবেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদ্রাসা চত্ত্বরে কোরবারির ব্যবস্থা করেছি। এবার নির্দিষ্ট এই স্থানে ৫৬ টি পশু (গরু) কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্জ্য অপসারন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগামী কোরবানিতেও একই ব্যবস্থা চালু রাখার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষনের জন্য প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা শহরের এই ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান সরুই মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২০
ওএফবি