ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বলতে পারবো আমাদেরও আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর আছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
‘বলতে পারবো আমাদেরও আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর আছে’ যেমন হবে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল/ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সত্যিকার অর্থেই আন্তর্জাতিক মানের একটা বিমানবন্দর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুল রাজ্জাক।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের ফাউন্ডেশনের স্টিল পাইলের পরিবর্তে বোর্ড পাইলস ব্যবহারের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এটি নির্মাণ হলে সারা বিশ্বের কাছে বলতে পারবো আমাদেরও আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর রয়েছে।

বুধবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ১৭তম সভা কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সাংবাদিকদের জানান, আজকের সভায় মোট পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এরমধ্যে বেরসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দু’টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি ও বিদ্যুৎ বিভাগের দু’টি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি অনেক বড় একটি প্রস্তাব। আমাদের প্রাধিকার প্রকল্পের একটি। প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন কক্সবাজারকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করে পর্যটকদের আকষর্ণের স্থান হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। এ লক্ষ্যে ১৮শ ৬৮ কোটি ৫২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ টাকার একটি প্রকল্পে সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ঠিকাদারির কাজটি পেয়েছে চায়নার সিআরসি কোম্পানি।

‘আমরা চাচ্ছি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সত্যিকার অর্থেই আন্তর্জাতিকমানের একটা বিমানবন্দর হোক। তৃতীয় টার্মিনালটি নির্মাণ হলে সারা বিশ্বের কাছে বলতে পারবো আমাদেরও আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর রয়েছে। এ প্রকল্পটি স্টিল পাইলের পরিবর্তে বোর্ড পাইলসে করার জন্য সুপারিশ করেছি। এতে দাম কমে গেছে। ’

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে চার বছর। এর ভবন হবে তিন তলা। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের ভবনটির নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি এনওসিডি-জেভি জয়েন্ট ভেঞ্চার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন (প্রাইভেট) লিমিটেডের (সিঙ্গাপুর) স্থপতি। থার্ড টার্মিনালের বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ সার্ভিস (স্ব-সেবা) চেক ইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে।

এছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ মোট ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে। আগমনীর ক্ষেত্রে থাকবে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট এবং ১৯টি চেক-ইন অ্যারাইভ্যাল কাউন্টার। টার্মিনালে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে।

অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি আলাদা বেল্ট স্থাপন করা হবে। তৃতীয় টার্মিনালে সঙ্গে বর্তমান টার্মিনাল ভবনগুলোর সঙ্গে প্রকল্পের প্রথম ধাপে কোনো যোগযোগ ব্যবস্থা থাকবে না। তবে প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে কানেকটিং করিডোরের মাধ্যমে পুরনো টার্মিনাল ভবনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৃতীয় টার্মিনালে সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং বিল্ডিং ভবন নির্মাণ করা হবে, সেখানে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

বর্তমানে ভিভিআইপিদের জন্য শাহজালালে আলাদা ভিভিআইপি কমপ্লেক্স রয়েছে, সেটি ভেঙে ফেলা হবে। তবে তৃতীয় টার্মিনালে স্বতন্ত্র কোনো ভিভিআইপি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে না। তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের অভ্যন্তরে দক্ষিণ পাশে সর্বাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ভিভিআইপি স্পেস থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
জিসিজি/এএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।