ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিরাজগঞ্জে যমুনার অব্যাহত ভাঙনে ৩ শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
সিরাজগঞ্জে যমুনার অব্যাহত ভাঙনে ৩ শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে  ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যমুনার ভয়াবহ ভাঙন দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে। গত দুদিনে একটি মসজিদসহ তিন শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এর মধ্যে প্রায় ৭০টি পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে পানি সম্পদ সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।  

শনিবার (২৫ জুলাই) সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকায় সরেজিমেন গেলে দেখা যায়, ভাঙন আতঙ্কে শত শত মানুষ বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। সর্বস্ব খোয়ানো মানুষগুলো পরিবার নিয়ে বাঁধের উপর এসে উদ্বাস্তুর মতো দাঁড়িয়ে রয়েছেন।  

এ সময় কথা হয় সোবাহান আলী, আব্দুর রাজ্জাক, ফরিদুল ইসলামসহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে।  

তারা বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই সিমলা স্পারটি দেবে যায়। এরপর দ্রুতগতিতে ভাঙন শুরু হয় বুঝে ওঠার আগেই নদীগর্ভে চলে যায় অনেক বাড়িঘর। ঘর, আসবাবপত্র, গবাদিপশু ছেড়ে কোনোমতে জীবন নিয়ে পালিয়ে আসেন অনেকে। ভাঙনের জন্য পাউবোর গাফিলতিকেই দায়ী করেন স্থানীয়রা।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য তারিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭০টি পরিবারের মানুষ বাড়িঘর সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এছাড়াও আড়াইশর উপরে মানুষ ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে পেরেছেন। তাদের বসতভিটাও নদীগর্ভে চলে গেছে। এদিকে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন পাঁচ ঠাকুরী, ভাটপিয়ার, পার পাচিলসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।  

ছোনগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বলেন, শুক্রবার দুপুর থেকে হঠাৎ করে শুরু হয় ভাঙন। এই রকম নদী ভাঙন আগে কখনো দেখিনি। মুহূর্তের মধ্যেই শতাধিক বাড়ি-ঘর, মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। শনিবার পর্যন্তও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে বাঁধের উপর আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোর মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।  

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সিমলা স্পার দেবে যাওয়ায় যমুনার স্রোত ঘুরে সরাসরি বাঁধে আঘাত হানে। এ কারণে হঠাৎই ভাঙন শুরু হয়েছে। খবর পেয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ও সকালে দু’দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জরুরিভাবে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। শনিবার সকাল থেকে ভাঙনরোধে কাজ শুরু করা হয়েছে। পানি না কমা পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ অব্যাহত থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।