ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ১২ হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ১২ হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের দাবি মানববন্ধন

পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে রেলওয়ের জায়গা থেকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় ১২ হাজার পরিবারকে উচ্ছেদের আগে তাদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী।  

রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঈশ্বারদী পৌর এলাকার প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন উচ্ছেদ আতঙ্কে থাকা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ পাকশী এলাকার সাধারণ মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে পাকশীতে রেলওয়ের জায়গায় শতবর্ষ ধরে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের নোটিশ দেয় পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ। এরপর থেকে উচ্ছেদ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয়দের। প্রস্তাবিত উচ্ছেদ এলাকার মধ্যে রয়েছে শতবর্ষের বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বধ্যভূমি শতবর্ষী কয়েক হাজার গাছ ও নানা স্থাপনা। সেখানে বসবাস করছেন জাতীয় শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অন্তত ১২ হাজার পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে তারা উচ্ছেদ আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাই উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। এই উচ্ছেদ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছে।

বক্তারা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যক্রমের বিরোধিতা নয় করোনাকালীন এ স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ এমনিতেই কর্মহীন হয়ে রয়েছে। এই রেলওয়ের জায়গাতে এই বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিবার যুগযুগ ধরে বসবাস করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এই পাকশী অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঠিক রেখে ও উচ্ছেদকারীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার অবশ্যই এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযুদ্ধের কোম্পানি কমান্ডার সদরুল হক সুজা, মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল্লাহ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হবিবুল ইসলাম হব্বুল, জেলা পরিষদ সদস্য ছাইফুল আলম বাবু মণ্ডল, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম রফিকসহ অনেকে।

বাংলদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।