হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ পায় স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে।
রোববার (১৯ জুলাই) হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ কথা বলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ। জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি এ মানববন্ধনের ডাক দেয়।
বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মৎস্য কর্মকর্তার অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন। অন্যথায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে হবিগঞ্জের সব অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেয় রিপোর্টার্স ইউনিটি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম দীর্ঘদিন এক কর্মস্থলে চাকরির সুবাধে বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন, এমন অভিযোগ এনে এবং প্রতিকার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন স্থানীয় লোকজন। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন আলম। কিন্তু এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় মাছরাঙা টেলিভিশনের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি চৌধুরী মো. মাসুদ আলী ফরহাদ ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বদরুল আলমসহ আরও কয়েকজনকে।
হবিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এমএ আজিজ সেলিমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রাসেল চৌধুরী, সাবেক সভাপতি প্রদীপ দাস সাগর সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি শাকিল চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফ চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য মুজিবুর রহমান, ফয়সল চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাংবাদিক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
আরএ