ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বাস্থ্য সংকট হ্রাসে ‘ডাটা বিপ্লব’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
স্বাস্থ্য সংকট হ্রাসে ‘ডাটা বিপ্লব’ ‘ডাটা বিপ্লবের মাধ্যমে কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সাইড ইভেন্ট।

ঢাকা:  প্রমাণভিত্তিক ডাটা শুধু কোভিড-১৯ জনিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলার জন্যই নয়, এটি দরিদ্র্য ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সামাজিক সুরক্ষা, নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা এবং স্থানীয় ও প্রবাসফেরত কর্মীদের জীবিকার সংস্থান নিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজন।

জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে ‘ডাটা বিপ্লবের মাধ্যমে কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সাইড ইভেন্টের প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেন বক্তারা।

বুধবার (১৫ জুলাই) জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআই এ আয়োজনটি বাস্তবায়ন করে। সোমালিয়া, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাব বাংলাদেশ ছিল এ ইভেন্টের সহযোগী। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘যেহেতু আমরা একটি মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছি তাই বৈজ্ঞানিক প্রমাণপত্র ও তথ্যাদির গুরুত্ব আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক বেশি, তাই ‘ডাটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ’ এখন কী ঘটছে শুধু সে জন্যই নয়, বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার এবং পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও অত্যাবশ্যক। ’

কোভিড-১৯ এর ফলে সারাবিশ্ব যেসব বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে তা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘অভিবাসী কর্মী পাঠানো অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও আজ কোভিড মহামারিজনিত কারণে অভিবাসী কর্মীদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। একারণে সংশ্লিষ্ট অন্য দেশের ন্যায় আমাদের অর্থনীতি বড় হুমকির মুখে পড়েছে। তেলের দাম হ্রাস ও কোভিড মহামারির দ্বৈত প্রভাবে অনেক কর্মী বেকার হয়ে পড়েছে। তাই ডাটা সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও এর কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনকারী এসব প্রবাসী কর্মীর পুনঃকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি এবং তাদের টেকসই উপায়ে কর্মে পুনর্বাসিত করতে সাহায্য করতে পারি। ’

এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী ইভেন্টিতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। কোভিড-১৯ সংক্রমণের হট-জোন চিহ্নিতকরণ, টেলি-হেলথ সেবা প্রণয়ন, নগদ অর্থ সহায়তা পাঠানোর জন্য পাঁচ লাখেরও বেশি জনগণের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা, কোভিড পরবর্তী দক্ষতা ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর নীতি ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের সমগ্র ডাটা একত্রীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে উপাত্ত ব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের উত্তম অনুশীলনগুলো ইভেন্টে তুলে ধরেন তিনি। এ মাহামারি মোকাবিলা এবং এ থেকে পুনরুদ্ধারে দক্ষিণের উন্নয়নশীল দেশগুলো গৃহীত প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওএসএসসি) যে ভূমিকা রাখছে তা উল্লেখ করেন ইউএনওএসএসসির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি ড. ডেনিস নকালা।

এতে সোমালিয়ার প্রতিনিধি আবদিরাহিম মুদে কোভিড পরবর্তী দক্ষতা উন্নয়ন নিশ্চিতে ভার্চ্যুয়াল প্রশিক্ষণসহ তার দেশের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কাউকেই পিছনে ফেলে রাখা চলবে না বলে মন্তব্য করেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রফেসর আহমেদ মুশফিক মোবারক। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির রবার্ট অপ, ইউএন ডেসার ভিনসিনজো অ্যাকুয়ারো, ইউএন এসক্যাপ এর মিজ জেম্মা ভ্যান হ্যালডিরেন, আইএলও এর নিয়াল ও হিগিনস এবং দ্য কমন্স প্রজেক্টের পল মেয়ের, হার্ভার্ড পাবলিক হেলথ প্রফেসর ক্যরোলিন বুকি। বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম ইভেন্টে সমাপনী বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
টিআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad